
আরটিআই অ্যাক্টিভিস্ট অমিত জেথওয়াকে হত্যার ঘটনায় প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ
দীনু সোলাঙ্কিকে বৃহস্পতিবার যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দিল আদালত।
২০১০ সালের জুলাই মাসে খুন হন অমিত। ওই মামলায় গত শনিবার দীনু-সহ ৭ জনকে
দায়ি করেছিল আদালত। এদিন রায় ঘোষণা হল।
বিশেষ সিবিআই আদালত ৭ জনকে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২, ২০১, ১২০ বি ধারা এবং অস্ত্র আইনের সেকশন ২৫ (১) অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত করেছে।
গুজরাটের গির অরণ্যে বেআইনি খনন কার্য চলছে বলে দীর্ঘদিন যাবত অভিযোগ
করে আসছিলেন অমিত। তিনি দাবি করেছিলেন, ওই অপরাধের পিছনে সক্রিয় ভূমিকা
নিয়েছেন বিজেপি সাংসদ দীনু। ২০১০ সালের ২০ জুলাই অমিতকে খুব কম দূরত্ব থেকে
গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতিরা। খুনের পর তারা বাইকে করে পালিয়ে যেতে সক্ষম
হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় দু-টি দেশি রিভলভার।
তদন্তের প্রাথমিক
পর্যায়ে আমেদাবাদের ডিটেকশন অফ ক্রাইম ব্রাঞ্চ জুনাগড়ের তৎকালীন সাংসদ
সোলাঙ্কির নাম চার্জশিটে রাখেনি। তৎকালীন এক পুলিশ আধিকারিক, যিনি এখন
ডিজিপি এবং আইজি (কারা) হিসাবে কর্মরত, সোলাঙ্কিকে ক্লিন চিট দিয়েছিলেন।
এরপর অমিতের পরিবারের পক্ষ থেকে গুজরাট হাই কোর্টে এই মামলার নতুন করে
তদন্তের আবেদন জানানো হয়। এর প্রেক্ষিতে বিচারক জে বি পারদিওয়ালা ২৬ জন
সাক্ষীর নতুন করে ট্রায়ালের নির্দেশ দেন। হাইকোর্ট তৎকালীন বিশেষ সিবিআই
বিচারক দীনেশ এল প্যাটেলকেও সরিয়ে দেয়। প্রসঙ্গত, এই মামলার বর্তমান বিচারক
কে এম ডাভে নিজের এবং পরিবারের জন্য সর্বক্ষণের নিরাপত্তা চেয়েছিলেন।
সোলাঙ্কি সাংসদ থাকাকালীনই ২০১৩ সালে গ্রেফতার হন। তাঁর নাম চার্জশিটে
যুক্ত করা হয়। সিবিআই এই মামলায় তাঁকেই প্রধান অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত
করে।
0 মন্তব্যসমূহ