
আসামের ১০ জন কবির বিরুদ্ধে এফআইআর জারি করা হয়েছে। এঁদের প্রায় সকলেই
বাঙালি বংশোদ্ভূত মুসলিম কবি এবং সমাজকর্মী। এঁরা লেখালিখি করেন যে ভাষায়,
তা স্থানীয় ভাবে মিঞা ভাষা বলে পরিচিত। রাজ্যে নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে যে
সংকট একাংশের মানুষ ভোগ করছেন, তা নিয়ে একটি কবিতা লেখা হয়েছে বলে পুলিশের
কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। সেঅ অভিযোগের ভিত্তিতেই এই ব্যবস্থা।
গুয়াগাটি সেন্ট্রালের ডিসিপি ধর্মেন্দ্র কুমার দাস বলেছেন, “হ্যাঁ, একটা এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।”
গুয়াহাটির পুলিশ কমিশনার দীপক কুমার বলেছেন, “এইসব কবি ও
অ্যাক্টিভিস্টদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ বি, ১৫৩এ, ২৯৫এ এবং ১৮৮
ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযোগ আনা হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি
আইনের ৬৬ নং ধারাতেও।”
প্রণবজিৎ দলুই নামে একজন এই অভিযোগ এনেছেন। তিনি তাঁর অভিযোগে কাজি
শারওয়ার হুসেইনের লেখা একটি কবিতার উল্লেখ করেছেন। “অভিযুক্ত ব্যক্তির
উদ্দেশ্য হল সারা দুনিয়ার মানুষের কাছে অসমিয়া জনগণকে জাতিবিদ্বেষী হিসেবে
চিহ্নিত করা, যা অসমিয়া মানুষের কাছে অত্যন্ত অমঙ্গলজনক এবং একই সঙ্গে
জাতীয় নিরাপত্তা ও ঐক্যবদ্ধ সামাজিক পরিবেশের পক্ষেও ক্ষতিকর।”
এফআইআরের সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সমাজকর্মী আব্দুল কালাম আজাদ
প্রশ্ন তুলেছেন, “যেসব সাচ্চা নাগরিকদের জি ভোটার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে
বা ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে, তাঁদের নিয়ে কবিতা লেখার অধিকারও কি
আমাদের নেই?”
0 মন্তব্যসমূহ