
"ডাইনি" অপবাদ সইতে না পেরে আবারো জীবন দিতে হলো এক নির্যাতিতার। তার
ওপর মানসিক নির্যাতনের চাপ এতটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছিল যার ফলে এসিড
খেয়ে জীবন দিল এই নির্যাতিতা। এর উপর পুলিশকে না জানিয়ে মৃতদেহ পুড়িয়ে
ফেলা হয়েছে।
মৃতার নাম সাধনী দেববর্মা। ঘটনা সিধাই থানাধীন ডাইন মারা
পাড়া গ্রামে। যদিও পরিবারের কর্তা ডাইনি সংক্রান্ত অভিযোগটি অস্বীকার
করেছেন।সিধাই থানা ধিন দিঘালিয়া থেকে অভিচরন যাওয়ার পথে ডইন মারা গ্রাম।
এই গ্রামের রাজ মঙ্গল দেববর্মার স্ত্রী সাধনা দেববর্মাকে কয়েক মাস আগে নিজ
গ্রামে ডেঙ্গু আখ্যায়িত করা হয় বলে খবর পাওয়া গেছে। এরপর থেকে শুরু হয়
তার ওপর মানসিক এবং সামাজিক নির্যাতন।
ডাইনি নামক কুসংস্কার এতটাই গভীর
ভাবে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে যার ফলে ভালো মন্দ বিচার করার ক্ষমতা
হারিয়ে ফেলে মানুষরা । বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যক্তিগত বা পারিবারিক ঝামেলা
থেকেই প্রতিপক্ষকে ডাইনি নামক অন্ধ কুসংস্কারের আখ্যায়িত করা হয়। আর এই
বিষয়টিকে প্রতিবেশীরাও ন্যূনতম চিন্তা না করেই মেনে নেন। শুরু করেন
শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক নির্যাতন। এই ডাইন মারা গ্রামের সাধনি
দেববর্মা সাথেও নেহাত কিছু কম হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়নি। মৃতের স্বামী
রাজ মঙ্গল দেববর্মা জার্মান তাঁর স্ত্রী মানসিক রোগী ছিলেন।
প্রায় কুড়ি
দিন আগে সাধনি সিধাই থানাধীন বাগবাড়ি স্থিত বাবার বাড়িতে যান। শনিবার
সকালে বাবার বাড়িতে এসিড পানে সাধনির মৃত্যু হয় বলে এলাকায় খবর চাউর
হয়েছে। যদিও স্বামী রাজ মঙ্গল জানান কোন একটা ঔষধ খাওয়ার ফলে তার মৃত্যু
হয়েছে।কিন্তু মৃত্যুর পর সাধনীকে কোন হাসপাতালে বা চিকিৎসকের কাছেও নিয়ে
যাওয়া হয়নি। এমনকি খবর দেওয়া হয়নি পুলিশেও। ফলে প্রশ্ন উঠছে সাধনীর
মৃত্যুক আত্মহত্যা? নাকি খুন? যদিও ঘটনার খবর পেয়ে সিধাই থানার পুলিশ ডাইন
মারা স্থিত মৃতার শ্বশুর বাড়িতে যান। কিন্তু ততক্ষণে বাড়ির লোকেরা
মৃতদেহে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। যার ফলে অস্বাভাবিক মৃত্যু হওয়ার পরও বিনা
ময়না তদন্তে পুলিশকে ঘুমে রেখে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে মৃতদেহ।
0 মন্তব্যসমূহ