
দুদিনের ভারী বর্ষণে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে কুর্তি হাওরের জল। 60 পরিবার
জলের তলায়। প্রশাসনিক দৌড়ঝাঁপ শুরু। উত্তর জেলার কদমতলা ব্লক এলাকার
কুর্তি হাওরটি আসাম, ত্রিপুরা ও পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশ গিয়ে শেষ
হয়েছে।
বাংলাদেশের জুরি নদী, ত্রিপুরার কুর্তি নদী সহ অসংখ্য ছড়া নালার
জল জমে কুর্তি হাওর বর্ষার মৌসুমে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। গোটা ধর্মনগর
মহকুমায় মাছের যোগান দেয় এই কুর্তি হাওর। বিগত বাম আমলে কুর্তি হাওরের
মানিক নগর এলাকা যেটা বন্যা আক্রান্ত সেখানের কোন উন্নয়ন হয়নি। বিভিন্ন
প্রকল্পের অর্থ লুণ্ঠন করা হয়েছে। অথচ বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য কোন কাজ
হয়নি। বাড়িঘরে জল ঢুকে যাওয়ায় জনগণ ভোগান্তির শিকার। যোগাযোগের মাধ্যম
একমাত্র নৌকা। রাস্তাঘাট এর অস্তিত্ব নেই। পানীয় জল আনতে হচ্ছে বহুদূর
থেকে। হাওরে থাকা পুকুর গুলির বাঁধ ভেঙ্গে মাছ ভেসে গেছে। তাতে
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মৎস্য চাষীরা।
কুর্তি মানিক নগর এলাকায় হাওরের জন্য
প্রতিবছর পাঁচ থেকে ছয় বার এখানকার মানুষজনরা বন্যায় আক্রান্ত হন।
মানিকনগর কলোনির রাস্তাটা উঁচু করে নির্মাণের জন্য গ্রামবাসী আবেদন রাখলেও
কাজ হয়নি। বর্তমান সরকারের কাছে গ্রামবাসীর আবেদন রাস্তা উঁচু করে কুর্তি
হাওর এলাকায় একটি স্লুইচগেইট বসালে মানিক নগর এলাকার বাসিন্দারা বন্যার
কবল থেকে মুক্তি পেলেন তাদের বাড়িঘরে জল ঢুকতো না।
0 মন্তব্যসমূহ