About Me

header ads

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর পদে ইস্তফা বিরলের!

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিরল আচার্য্য। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে একটি সূত্র জানিয়েছে মেয়াদের ছ’মাস বাকি থাকতেই তিনি ইস্তফা দিলেন। জানা যাচ্ছে, তাঁর মেয়াদ পুনর্নবীকরণের কোনও সম্ভাবনা ছিল না। অর্থনৈতিক উদারীকরণের পর বিরলই ছিলেন দেশের কনিষ্টতম আরবিআই ডেপুটি গভর্নর। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি এই পদে যোগ দিয়েছিলেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্কে ইস্তফা দেওয়ার পর তিনি ফিরে যাবেন তাঁর পূর্ববর্তী কর্মস্থল নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপনার কাজে। 
জানা যায়, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কটির বর্তমান গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের সঙ্গে ‘মনিটরি পলিসি’ সংক্রান্ত বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণ করেছিলেন বিরল আচার্য্য। চলতি বছরের ৪ এপ্রিল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মনিটারি পলিসি ঘোষণার আগে যে বৈঠক হয়েছিল তাঁর কার্য বিবরণিতে এই ভিন্ন মত পোষণের কথা উল্লেখ রয়েছে।

এদিকে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্য্যের ইস্তফার কারণ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয় ওয়াকিবহাল মহলে। উল্লেখ্য, উর্জিত প্যাটেলের মতো তিনিও ‘ব্যক্তিগত’ কারণ দেখিয়ে ইস্তফা দেন। তবে বর্তমান গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর মতভেদ অনেক আগেই সামনে আসে। তাঁর একটি উদাহরণ ছিল রেপো রেট কমিয়ে যখন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিকে মনযোগ দেওয়ার পক্ষে যুক্তি দেন আরবিআই গভর্নর ঠিক সেই সময় বিরল আচার্য্য অপর একটি ‘রেট কাটার’ এর কথা বলেন যেটি খাদ্য এবং জ্বালানীবাদে বর্তমান উচ্চমুদ্রাস্ফীতির হারকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করবে। পরবর্তীতে ছয় সদস্যের মনিটরি পলিসি কমিটি (এমপিসি) ৪- ২ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পলিসির রেপো রেট ২৫ পয়েন্ট থেকে ৬ শতাংশ হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নেয়।

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্য্য ১৯৯৫ সালে আইআইটি মুম্বাই থেকে কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিটেক করেন এবং ২০০১ সালে তিনি নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টার্ন স্কুল অফ বিজনেস থেকে অর্থনীতি বিভাগে পিএইচডি করেন। স্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার আগে ২০০১ থেকে ২০০৮ অবধি তিনি লন্ডন বিজনেস স্কুলে পড়াশুনা করেন, কোলের ইন্সটিটিউট অফ প্রাইভেট ইকুইটিতে অ্যাকাডেমিক ডিরেক্টরের পদে ছিলেন ২০০৭-০৯ সাল অবধি এবং ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডে রিসার্চ ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন ২০০৮ সালে। ২০০৮ সালে স্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে যোগ দেওয়া বিরল আচার্য্য বর্তমানে সেখানকার অর্থনীতির প্রফেসর। নিউইয়র্কের ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে জানা যায়, আরবিআইয়ের এই ডেপুটি গভর্নরের গবেষণার বিষয় ছিল আর্থিক খাতে অর্থলগ্নিক ঝুঁকির তাত্ত্বিক এবং পরীক্ষামূলক বিচার বিশ্লেষণ। উল্লেখ্য, প্রাক্তন আরবিআইয়ের গভর্নর রঘুরাম রাজনের সঙ্গে বিরল আচার্য্যর ‘সোর্স অফ ইন্সপিরেশন’ নামক একটি রিসার্চ পেপারও প্রকাশিত হয়েছিল।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ