
সম্প্রতি উমাকান্ত একাডেমীর একাদশ শ্রেণীতে ছাত্র ভর্তির
জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। শুরু হয় ভর্তির
ফর্ম সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার কাজ। কিন্তু বিদ্যালয়
থেকে মাধ্যমিক পাশ করা একাংশ ছাত্রর অভিযোগ তারা এখন উমাকান্ত বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণীতে
ভর্তির ফর্ম সংগ্রহ করতে পারছে না। অথচ অন্য বিদ্যালয়
থেকে আগত ছাত্রদের ফর্ম দেওয়া হয়েছে এমনকি তাদের কাছ থেকে ফর্ম জমাও নেওয়া হয়েছে।
সমস্যার
সমাধানের জন্য তারা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলতে গেলে প্রধান শিক্ষক তাদের
সাথে খারাপ আচরণ করেছে বলেও অভিযোগ। তাই তারা এইদিন
অফিসলেনস্থিত বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে দপ্তরের যুগ্ম অধিকর্তার
সাথে দেখা করে তাদের অভিযোগের কথা জানায়। পাশাপাশি তারা
দাবি জানায় তারা যেন উমাকান্ত একাডেমীতে ভর্তি হতে পারে তার যেন ব্যবস্থা করা হয়।
দপ্তরের
যুগ্ম অধিকর্তা তাদেরকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানায় ছাত্ররা।
দপ্তরের যুগ্ম
অধিকর্তার আশ্বাস পেয়ে ছাত্ররা দপ্তরের অধিকর্তার অফিস থেকে বেড়িয়ে আসে।
সেখান
থেকে বেড়িয়ে আসার পর স্কুল ড্রেস পরিহিত এই ছাত্ররা আচমকা রাজধানীর আইজিএম চৌমুহনীতে
এসে সড়ক অবরোধ করে বসে। এই ছাত্রদের সাথে
বহিরাগত দুই থেকে তিন জন যুবক সড়ক অবরোধে সামিল হয়।
রাস্তার
পাশে দাড়িয়ে ছিল সড়ক অবরোধে সামিল হওয়া ছাত্রদের অভিভাবকরা।
এইদিকে
সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধ্রুব নাথের নেতৃত্বে পশ্চিম আগরতলা থানার
পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। পুলিশ দফায় দফায়
আলোচনা চালায় সড়ক অবরোধকারী ছাত্রদের। কিন্তু তারা পুলিশের
কথা শুনতে নারাজ ছিল। বহিরাগত যুবকরা
স্কুল ছাত্রদের সড়ক অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইন্দন দিতে থাকে।
তখন
পুলিশ বহিরাগত দুই যুবককে আটক করে পশ্চিম থানায় নিয়ে যায়।
তার
পরই সড়ক অবরোধ মুক্ত হয়। মহকুমা পুলিশ
আধিকারিক জানান এই ছাত্রদের পিছন থেকে মদত দিয়ে ভুল পথে পরিচালিত করা হয়েছে।
তাই
স্কুল ড্রেস ছাড়া আন্দলনে সামিল হওয়া দুই যুবককে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে আইনশৃঙ্খলার
বিষয়টি বিবেচনা করে। তবে কাউকে গ্রেপ্তার
করা হয়নি। তিনি আরও জানান আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের
চেষ্টা করা হবে।
এইদিকে দুই যুবককে
থানায় নিয়ে যাওয়ার পর ছাত্ররা পশ্চিম আগরতলা থানায় ছুটে যায় থানা ঘেড়াও করার জন্য।
সেখানে
গিয়ে ক্ষুব্ধ ছাত্ররা কথা বলে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ও পশ্চিম থানার ওসির সাথে।
পুলিসের
পক্ষ থেকে ছাত্রদের বলা হয় যাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদের অভিভাবক আসার পর ছেড়ে দেওয়া
হবে। তারপরই ছাত্ররা পুনরায় বিদ্যালয়ে ফিরে যায়।
এখন
দেখার ছাত্রদের দাবি পূরণ হয় কিনা?
0 মন্তব্যসমূহ