
ঝাঁ চকচকে, এক্কেবারে নতুন চোখ ধাঁধানো
বিলাসবহুল ফ্ল্যাটগুলো সাজানো রয়েছে পরপর৷ না, ইচ্ছা থাকলেও সেসব আপনার
ধরা ছোঁয়ার বাইরে৷ নয়াদিল্লির অভিজাত এলাকা নর্থ অ্যাভেনিউ সেজে উঠেছে
নতুন নতুন ফ্ল্যাটে৷
রিপোর্ট বলছে কমপক্ষে ৩৬টি ফ্ল্যাট তৈরি
করা হয়েছে নতুন সাংসদদের জন্য৷ প্রতিটি ফ্ল্যাট রীতিমত বিলাস বহুল ও
অত্যাধুনিক সরঞ্জামে সাজানো৷ সিপিডব্লুডি বা সেন্ট্রাল পাবলিক ওয়ার্কস
ডিপার্টমেন্টের তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠেছে এই ফ্ল্যাটগুলি৷ যার মধ্যে রয়েছে
আধুনিক সব ধরণের সুযোগ সুবিধা, যা সাংসদদের জন্য বিশেষ যত্ন নিয়ে তৈরি করা
হয়েছে৷ ডুপ্লেক্স এই ফ্ল্যাটে রয়েছে ভূমিকম্প রোধক ও পরিবেশ বান্ধব
ব্যবস্থা৷
প্রতিটি ডুপ্লেক্স অ্যাপার্টমেন্টে দুটি
ফ্লোর থাকছে, রয়েছে লিফটের বন্দোবস্ত৷ সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, প্রতিটি
ফ্ল্যাট থেকে দেখা যাবে রাষ্ট্রপতি ভবন৷ নতুন ফ্ল্যাটগুলিতে চারটি বড় বড়
শোওয়ার ঘর, মডিউলার কিচেন, গ্রানাইট ফ্লোরিং, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের
ব্যবস্থা, ছোট একটি মন্দির, পরিচারকদের ঘর ও বেসমেন্ট পার্কিং৷
বৈদ্যুতিক
বিলের খরচ কমানোর জন্য প্রতিটি ফ্ল্যাটের ছাদে থাকছে সোলার প্যানেল৷ থাকছে
সেন্সর লাইট৷ যা স্বয়ংক্রিয় ভাবে বন্ধ হতে পারে ও চালু হতে পারে৷ আপাতত
লোকসভার সদ্য নির্বাচিত সাংসদ পাঁচতারা হোটেলে থাকছেন৷ যার জন্য বড়সড় বিল
মেটাতে হচ্ছে এস্টেট বিভাগকে৷
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকার
সাংসদদের বেসিক পে পঞ্চাশ হাজার থেকে এক লাখ করার প্রস্তাবে সায় দিয়েছিল৷
এমনকি সাংসদদের বেতন ও ভাতা সংক্রান্ত জয়েন্ট কমিটি বেতন বৃদ্ধির যে
সুপারিশ করেছিল তাতে সায় দিয়েছিল প্রাইম মিনিষ্টার অফিস৷ কিন্তু কোনও
কারণে সেই সুপারিশ কার্যকর হয়নি৷
সমাজবাদী
পার্টির তৎকালীন সাংসদ নরেশ আগরওয়াল সাংসদদের মাইনে ও ভাতা বাড়ানোর দাবি
জানিয়ে ছিলেন৷ লোকসভায় তিনি জানান, ক্যাবিনেট সেক্রেটারিদের থেকে
সাংসদদের মাইনে অনেক কম৷ তাই সাংসদদের মাইনে বাড়াক সরকার৷ এর আগে সাংসদদের
মাইনে ও ভাতা সংক্রান্ত যে সুপারিশ পার্লামেন্টারি কমিটি করেছিল তা শীঘ্রই
কার্যকর করার দাবি জানিয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির আরেক নেতা রাম গোপাল
যাদব৷
সপ্তম পে কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করার পর ক্যাবিনেট সেক্রেটারির মাসিক বেতন এখন আড়াই লাখ টাকার বেশি৷
0 মন্তব্য