
রাজ্য সরকার কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকল শ্রেণীর
রেশনকার্ডধারী ভোক্তাদের জন্য কার্ড পিছু মাসিক ১ কেজি হারে চিনি ভর্তুকিযুক্ত
মূল্যে সরবরাহ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন
সময়ে ই টেন্ডার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা থাকায়
চলতি জুন মাস থেকে চিনি সরবরাহ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত
অনুযায়ী চলতি জুন মাসে রেশন কার্ড পিছু ৩ কেজি হারে কেজি প্রতি ২৩ টাকা দামের
চিনি সরবরাহ করা হবে। এ প্রকল্প রূপায়ণের জন্য ১৭.৮০ কোটি টাকা ভর্তুকি হিসেবে
রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে ব্যয় হবে।
গোর্খাবস্থী স্থীত খাদ্য, জনসংভরম
ও ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের অধিকর্তার কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে সাংবাদিকসম্মেলন করে এ কথা জানান খাদ্যমন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব। ১২ জুন ঐতিহাসিক পদক্ষেপ
নিতে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। মাসে ১ কেজি করে চিনি বরাদ্দ করা হয়েছে। ১২ জুন আগরতলা
টাউন হলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী হাত ধরে পরিষেবা প্রক্রিয়া শুরু হবে
বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব।
খাদ্য জনসংভরম ও ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক
দপ্তরের উদ্যোগ এবং কৃষি ও কৃষক কল্যা্ন দপ্তরের সহায়তায় চলতি রবি মরশুমে আগামী
জুন মাসের ১০ তারিখ থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ২৭৫০ টাকা প্রতি কুইন্টাল দামে
কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী মনোজ
কান্তি দেব। একজন কৃষক ন্যূনতম দুই কুইন্টাল থেকে সর্বোচ্চ উৎপাদিত যে কোন পরিমাণ
ধান বিক্রি করতে পারবে বলে জানান তিনি। যার জন্য রাজ্য সরকার অনুমানিক ২.২৫ কোটি
টাকা খরচের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এফসিআই এবার আর এই প্রক্রিয়া যুক্ত হবে
না বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব।
0 মন্তব্যসমূহ