About Me

header ads

প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগকারিণীর স্বামী-দেওর পদে ফিরলেন!

প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগকারিণীর স্বামী ও দেওরকে দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবল পদে পুনর্বহাল করা হল। চার মাস সাসপেন্ডেড থাকার পর তাঁরা পদ ফিরে পেলেন। দিল্লি সশস্ত্র পুশের অতিরিক্ত কমিশনার সি কে মইন বলেন, “সাসপেনশন অর্ডার প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাঁরা দু’জন গত সপ্তাহে কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত এখনও বাকি রয়েছে”। কিন্তু, সাসপেনশন অর্ডার কেন প্রত্যাহার করা হল তা জানতে চাইলে মইন উত্তর দিতে অস্বীকার করেন।

প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগকারিণী একটি হলফনামায় জানান, তাঁকে সুপ্রিম কোর্টের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার পরই এই দুই পুলিশকর্মীকেও সাসপেন্ড করা হয়। ১৯ এপ্রিল জমা দেওয়া ২৮ পাতার অভিযোগে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ১০ ও ১১ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবনের অফিসে তিনি যখন কর্মরত ছিলেন, সে সময় গগৈ তাঁকে যৌন প্রস্তাব দেন এবং আপত্তিজনকভাবে স্পর্শ করেন।

অভিযোগকারিণীর দাবি, এই ঘটনার পর তাঁকে বারবার বদলি করা হয়েছে এবং ২০১৮ সালের ২১ ডিসেম্বর শেষ পর্যন্ত তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। বদলির ক্ষেত্রে সিনিয়র অফিসারদের সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রশ্ন তোলায় এবং অঅনুমোদিত ছুটি নেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে বলে জানিয়ে অভিযোগকারিণীকে সাসপেন্ড করা হয়।

অভিযোগকারিণীর দাবির প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি রঞ্ডন গগৈ বলেন, “এটা অবিশ্বাস্য। এই অভিযোগ অস্বীকার করতে গেলেও যতটা নীচে নামতে হয়, আমি তা নামব না…এর পিছনে নিশ্চয় বৃহত্তর শক্তি রয়েছে”।

দিল্লি পুলিশে কর্মরত এই দুই ব্যক্তির সাসপেনশনের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ডিসিপি (নয়া দিল্লি), মধুর ভার্মা এপ্রিল মাসে জানান, “ওই মহিলার অভিযোগ এবং এই দুই পুলিশকর্মীর সাসপেন্ড হওয়ার মধ্যে কোনও সম্পর্ক নেই”। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে অভিযোগকারিণীর দেওর বলেন, “দিন কয়েক আগে আমরা পদে ফিরেছি। এবার আশা করি আমাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও বন্ধ করা হবে। কারণ, আমরা নির্দোষ…বৌদির কানের চিকিৎসার জন্য আমার দাদা এই মুহূর্তে মুম্বইতে”। অভিযোগকারিণীর স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি ছুটিতে আছি, তাই কী হয়েছে তা জানি না”।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ