
ঝাড়খণ্ডের যুবক তবরেজ আনসারি (২২) খুনের ঘটনায় লোকসভার জিরো আওয়ারে প্রশ্ন
তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। পদার্থবিদ্যার প্রাক্তন
অধ্যাপক সৌগত এদিন বলেন, “চার দিন ধরে যুবককে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছিল।
তাঁর মাথায় একাধিক আঘাতের চিহ্নও ছিল। অর্ধমৃত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে
নিয়ে যাওয়া হয়”। এরপরই দমদমের তৃণমূল সাংসদ সরাসরি বলেন, “ধর্মীয়
অনুপ্রেরণায় কিছু ঠান্ডা মাথার খুনি এই কাজটি করেছে”। এই ঘটনাটিকে তিনি
‘মানবতার কলঙ্ক’ বলেও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এটি খুবই দুঃখজনক যে একজন
নিরীহ ব্যাক্তিকে নিষ্ঠুরভাবে মেরে ফেলা হল, শুধু তাই-ই নয় তাঁকে দিয়ে জয়
শ্রীরাম এবং জয় হনুমানও বলানো হয়”।
এদিন লোকসভায় ট্রেজারি বেঞ্চকে লক্ষ্য
করে সৌগত রায় বলেন, “বিজেপির সমর্থকেরা পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে এত কথা বলেন। সেটা
না করে বরং বিজেপি শাসিত ঝারখণ্ডের জনতাকে নিরাপত্তা দিক তারা। শুধু তাই
নয়, অন্যান্য রাজ্যেও এমনই ঘটনা ঘটেছিল, এইরকম ঘটনা প্রথম নয়। এটি
কেবলমাত্র ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার একটি নিদর্শন মাত্র”।
প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডের
সেরাইকেলা খারসাওয়ান জেলার ধাতকিডি গ্রামে ঘটা এক ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়,
তবরেজ আনসারিকে গণপ্রহার করা হচ্ছে এবং বলা হচ্ছে, “জয় শ্রীরাম” এবং “জয়
হনুমান” বলতে। আনসারি আদেশ মেনে তাই বলছেন এবং আর যাতে না মারধর করা হয়,
সেই অনুরোধ করছেন। উল্লেখ্য, চুরির দায়ে অভিযুক্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে
থাকা আনসারি শনিবার সকালে অসুস্থ বোধ করলে তাঁকে প্রথমে সদর হাসপাতাল এবং
পরে জামশেদপুরের টাটা মেইন হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
তবে পরিবারের দাবি, ‘নির্মম প্রহারে’ই মৃত্যু হয়েছে আনসারির। উল্লেখ্য,
ঝাড়খণ্ডের এই ঘটনায় মুখ খুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একটি টুইট
করে তিনি বলেন, “ঝাড়খণ্ডের গণপ্রহারের ঘটনায় আমি ব্যথিত।
অনেকেই দুঃখিত কিন্তু রাজ্যসভার কিছু সদস্য ঝাড়খণ্ডকে গণপ্রহারের আখড়া বলে
বর্ণনা করছেন। এটা কি ঠিক? একটা রাজ্যকে অপমান করবেন কেন? আমাদের কারোও
অধিকার নেই ঝাড়খণ্ডকে অপমান করার”
0 মন্তব্যসমূহ