
জীবনে শান্তি না মরণে ! কি সড়ক, কি বাড়ি, কি বিদ্যালয়। সব স্থান মহিলাদের জন্যে অসুরক্ষিত।
তবে এবার যে সংবাদ পাওয়া গেল, তার মতো ভয়ানক কিছু জগতে আর থাকতে পারে বলে মনে হয় না।
তৎকালীন বাম সরকার আগরতলা বটতলা মহাশ্মশান চালু করেছিল । সৌন্দর্যবঞ্চিত এই মহাশ্মশানে প্রতিদিন চলে মৃত মানুষের বস্ত্রহরণ ! কাপড়,বস্ত্র, ঘি, মধু, কলা ও অন্যান্য সামগ্রী বাজারে বিক্রি করে একটি কু-চক্র । এই ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে মদ্যপদের মধ্যে চলে নিত্য বিবাদ, মারামারি।
আর
এই কুকার্য সংঘটিত করার জন্যে শ্মশানের গরিব ডোমদের কাজে লাগায় তারা ,
অভিযোগ । গরিব ডোমদের কাজে লাগিয়ে মাঝখান থেকে ঘুষ নেয় ওরা।
শ্মশানের এক কর্মী পল্টু দাসের থেকেই জানা যায়,শ্মশানে মৃতদের এই সামগ্রীগুলো বিভিন্ন গুদাম, বিশালগড়ে বিক্রি করা হয়। মৃতের এই জিনিসগুলো যাঁরা কিনে থাকেন, কেউ জেনেও কেনেন, কেউবা না জেনে।
পল্টু বাবু জানিয়েছেন, এই
জিনিসগুলো বিক্রি করার ব্যাপারে প্রথম পল্টু বাবুকে ডাকে তারা ।কিন্তু
পল্টুবাবুর স্ত্রী কখনোই চান না স্বামী এমন কাজে নিজেকে জড়ান, এমনকি পল্টুবাবু গরীব হলেও নিজের সম্মান নিয়েই সমাজে বেঁচে থাকতে চান।
যখন ঐ দুষ্কৃতিরা পল্টুবাবুকে ডাকতে আসে, স্ত্রী
স্বামীকে ঘর থেকে বেরোতে বারণ করে নিজেই বেরিয়েছিলেন তাঁদের সঙ্গে কথা
বলার জন্যে। কিন্তু কু-চক্রী ৩ জন তাঁকে ধর্ষণ করে জঙ্গলে ফেলে দিয়ে গা
ঢাকা দেয়।
এই মামলায় স্বামী পল্টু দাস বটতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন, কিন্তু এখনো পুলিশের পাত্তা নেই।
পল্টু দাস জানিয়েছেন, দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি হওয়া চাই, নইলে আমরা শ্মশানে আর কাজ করবো না।
শ্মশানের আরেক কর্মীও স্বীকার করেছেন এমন মৃত মানুষের বস্ত্র হরণ করে কাপড় বিক্রি করার কথা।
প্রশ্ন হল, আগরতলা পুরনিগম কি করছে ? তাঁরা কি জানে না শুরুর দিন থেকে এখানে মদ্যপ-দের আড্ডা চলছে ? নিয়মিত সমাজের পরিবেশ নোংরা করে তুলছে তারা!
মঙ্গলবারে ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক ঘটনায় পল্টুবাবুর স্ত্রীর অবস্থা সংকটজনক বলে জানা গেছে।
0 মন্তব্যসমূহ