
এনআরএসকাণ্ডের জেরে হাসপাতালের জুনিয়র
ডাক্তারদের কর্মবিরতি চতুর্থ দিনে পড়ল। চিকিৎসক নিগ্রহের প্রতিবাদ করে সারা
ভারতের চিকিৎসককূল একজোট হচ্ছেন ক্রমশ। এবার পাশে দাঁড়ালেন উত্তরপূর্ব
ভারতের চিকিৎসকরা।
আসামের শিলচর মেডিক্যাল কলেজ এবং বরপেটা
জেলার ফাকরুদ্দিন আলি আহমেদ কলেজের চিকিৎসকেরা আগেই নীলরতন সরকার মেডিক্যাল
কলেজের জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়ের নিগ্রহের ঘটনার তীব্র নিন্দা
করেছিলেন। শুক্রবার এনআরএসকাণ্ডের প্রতিবাদে পথে নামলেন আগরতলা সরকারি
মেডিক্যাল কলেজের সমস্ত স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের ডাক্তারি পড়ুয়া এবং
গোবিন্দ বল্লভ পন্থ হাসপাতালের ইন্টার্ন এবং জুনিয়র ডাক্তাররা। মিছিল শেষে
চিকিৎসকদের নিরাপত্তা এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আগরতলা
সরকারি মেডিক্যাল কলেজের সামনে তাঁরা চার ঘণ্টা ধরে বিক্ষভ করেন।
ত্রিপুরা
সরকারি চিকিৎসক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডঃ রাজেশ চৌধুরী বলেছেন, “চিকিৎসকদের নিগ্রহের ঘটনা দিনের পর দিন ক্রমশ বেড়েই
চলেছে। চিকিৎসকদের হত্যাকারীর আসনে বসিয়ে মারা হচ্ছে যখন তখন। এনআরএস -এ
যারা এমন ঘৃণ্য অপরাধ করল, আমরা সে সব দুস্কৃতীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি
দাবি করছি”।

দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মাবলি অনুসারে সারা দেশে প্রতি হাজার জন
রোগীর জন্য ১ জন চিকিৎসক থাকা বাধ্যতামূলক। সেই হিসেবে ত্রিপুরায় ৩৯০০ জন
চিকিৎসক থাকা বাঞ্ছনীয়। কিন্তু বাস্তবে সে রাজ্যের চিকিৎসকের সংখ্যা ১১০০।
চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনায় রাজ্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তার প্রতিবাদে ইস্তফা
দিলেন নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ১০৪ জন চিকিৎসক। এদিন আরজি
কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রায় ৮০ জন সিনিয়র ডাক্তার ইস্তফা দিয়েছেন।
পদত্যাগ করেছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেরও বেশ কয়েকজন
চিকিৎসক। ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার রাতে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নিয়ে
ইস্তফা দিয়েছেন এনআরএসের অধ্যক্ষ এবং সুপার। উল্লেখ্য, এনআরএসের ঘটনায়
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া হুঁশিয়ারির পরই বৃহস্পতিবার থেকে
গণ-ইস্তফা দিতে শুরু করেন চিকিৎসকরা।
0 মন্তব্যসমূহ