
ভোপালের বিজেপি সাংসদ তথা মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্ত প্রজ্ঞা
সিং ঠাকুর উচ্চ রক্ত চাপ জনিত অসুস্থতায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এই কারণ
দেখিয়ে বৃহস্পতিবার তিনি মামলায় হাজিরা দেওয়া থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। তবে এ
সংক্রান্ত কোনও নথি তিনি আদালতে পেশ করতে পারেনি। আদালত তাঁর আবেদন
একদিনের জন্য মঞ্জুর করলেও একই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছে শুক্রবার তাঁকে হাজিরা
দিতেই হবে, নচেৎ তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একদিন আগেই বিশেষ এনআইএ বিচারক ভি এস পাডালকর আদালতে হাজিরা থেকে
প্রজ্ঞা ঠাকুরের এক সপ্তাহের জন্য রেহাইয়ের আবেদন নাকচ করে দেন। ওই আবেদনে
প্রজ্ঞা জানিয়েছিলেন, সংসদে কাজকর্মের জন্য় তিনি এই অব্য়াহতি চান। আদালত
জানিয়ে দেয় মামলা যে অবস্থায় রয়েছে, তাতে প্রজ্ঞার আদালতে হাজির হওয়া
জরুরি।
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, নবনির্বাচিত সাংসদ বুধবার রাতে পেট ব্যথার
অভিযোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। ভোরে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া
হয়। প্রজ্ঞার সহযোগী উপমা জানিয়েছেন, ভোপালে এক কর্মসূচি সেরেই ফের
হাসপাতালে ফিরে আসবেন তিনি।
পিটিআইকে উপমা জানান, “উনি (প্রজ্ঞা সিং) ভাল নেই। চিকিৎসার জন্য় কাল
রাতে ওঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উনি পেটের রোগে ভুগছেন। ওঁকে ইঞ্জেকশনের
মাধ্য়মে ওষুধ দিতে হয়।”
একই সঙ্গে তিনি বলেন, “ওঁকে আজ সকালে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
দলীয় কর্মীদের চাপে উনি একটি কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন, কিন্তু এর পরেই উনি
সোজা হাসপাতালে ফিরে আসবেন।”
এ বছরের মে মাসে আদালত নির্দেশ দেয় এই মামলার সাত অভিযুক্তকে সপ্তাহে
একদিন করে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেয়। এঁদের সকলের বিরুদ্ধেই ইউএপিএ এবং
ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ রয়েছে।
ইউ এ পিএ-র ১৬ নং ধারা (সন্ত্রাসমূলক কাজ) এবং ১৮ নং ধারা (সন্ত্রাসের উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র)য় এঁরা সকলে অভিযুক্ত।
প্রজ্ঞা ঠাকুর এ বছর লোকসভা ভোটে মধ্যপ্রদেশের দুবারের মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংকে হারিয়ে ভোপাল কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন।
0 মন্তব্যসমূহ