About Me

header ads

ঝাড়খণ্ড গণপ্রহার কাণ্ডে ‘ব্যথিত’ মোদী!

ঝাড়খণ্ডের সাম্প্রতিক গণপ্রহার কাণ্ডে বুধবার প্রথমবার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর বক্তব্য, সেরাজ্যে এক মুসলিম যুবককে চোর সন্দেহে গণপ্রহার করার ঘটনা তাঁকে ব্যথিত করেছে, তবে এর ভিত্তিতে গোটা রাজ্যকে অপমান করা অন্যায়।

“ঝাড়খণ্ডের গণপ্রহারের ঘটনায় আমি ব্যথিত। অনেকেই দুঃখিত,” রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের জবাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের প্রস্তাব নিয়ে চলাকালীন আলোচনার সময় বলেন মোদী। “কিন্তু রাজ্যসভার কিছু সদস্য ঝাড়খণ্ডকে গণপ্রহারের আখড়া বলে বর্ণনা করছেন। এটা কি ঠিক? একটা রাজ্যকে অপমান করবেন কেন? আমাদের কারোর অধিকার নেই ঝাড়খণ্ডকে অপমান করার।”

মোদী আরও বলেন, ঝাড়খণ্ড হোক, বা কেরালা, বা পশ্চিমবঙ্গ, যে কোনও হিংসার ঘটনাকে সমানভাবে বিচার করা উচিত, এবং যারা হিংসা ছড়ায়, তাদের এই শিক্ষা পাওয়া উচিত যে এ ব্যাপারে দেশ ঐক্যবদ্ধ।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভোরে ঝাড়খণ্ডের সেরাইকেলা খারসাওয়ান জেলার ধাতকিডি গ্রামে চোর সন্দেহে গণপ্রহার করা হয় তবরেজ আনসারিকে, এবং জোর করা হয় “জয় শ্রীরাম” এবং “জয় হনুমান” বলতে। ঘটনাটির একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, আনসারি আদেশ মেনে তাই বলেন, এবং বারংবার মার থামানোর অনুরোধ করেন।

শনিবার জামশেদপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু ঘোষণা করা হয় তবরেজের, যেখানে সদর হাসপাতাল থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এদিকে সদর হাসপাতালে তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত করে যে দল, তার সদস্যরা জানান যে মৃত্যুর কারণ “খুব সম্ভবত” মাথায় আঘাতের ফলে ব্রেন হেমোরেজ, যা প্রাথমিকভাবে সদর হাসপাতালের ডাক্তারের চোখে পড়ে নি।

ঘটনার জেরে বিরোধীপক্ষের আক্রমণের মুখে পড়েছে বিজেপি, এবং কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ঘটনাটিকে “মানবতার কলঙ্ক” আখ্যা দিয়েছেন। মঙ্গলবার একটি টুইট করে তিনি লেখেন, “ঝাড়খণ্ডে জনতার হাতে নির্মমভাবে এই যুবকের প্রহৃত হওয়া মানবতার কলঙ্ক। মৃতপ্রায় ছেলেটিকে চারদিন পুলিশি  হেফাজতে রেখে দেওয়াটা যতটা ন্যক্কারজনক, ততটাই নিন্দনীয় এ বিষয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে এবং কেন্দ্রে প্রভাবশালী বিজেপি নেতৃত্বের নীরবতা।”

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ