About Me

header ads

নিহত পুলওয়ামা হামলার গাড়ির মালিক!

পুলওয়ামায় গাড়িবোমা বিস্ফোরণে ৪০ সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হওয়ার ঘটনায় ব্যবহৃত গাড়িটির মালিক তথা জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সাজ্জাদ মকবুল ভাট নিহত হল মঙ্গলবার। সাজ্জাদকে খতম পারাকে ‘বড় সাফল্য’ হিসাবে দেখছে সেনা। দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারির বিস্ফোরণে ব্যবহৃত মারুতি ইকো ভ্যানের মালিক সাজাদ। এদিন সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক সেনা জওয়ানও। এর এক দিন আগে সোমবার এই অনন্তনাগেই নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে খতম হয়েছে আরেক জঙ্গিও। এই একই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন সেনা বাহিনীর এক মেজর। প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র কর্নেল রাজেশ কালিয়া মঙ্গলবার জানান, “আজ দুই জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। লড়াই চলাকালীন এক সেনাকর্মীও শহিদ হয়েছেন”।

কীভাবে হল এই অপারেশন?
সরকারি বিবৃতিতে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানায়, অনন্তনাগ জেলার বিজবেহারা অঞ্চলের মারহামা গ্রামে নির্দিষ্ট এলাকা ঘিরে নিয়ে তল্লাশি অভিযান (কর্ডন অ্যান্ড সার্চ অপারেশন) শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। এই তল্লাশি শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। এরপরেই তল্লাশি অভযানটি দ্রুত সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে পরিণত হয়। পুলিশ আরও জানায়, “(গুলির লড়াইয়ে) দুই জঙ্গিকে খতম করা হয়, তাদের মৃতদেহও ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে”। জানা যাচ্ছে, অভিযানের সময় জঙ্গিরা একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল।

পুলিশের নথি অনুযায়ী, পুলওয়ামা হামলার ৮দিন পর অর্থাৎ চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি জইশের ‘মিলিট্যান্ট’ পদে যোগ দিয়েছিল সাজ্জাদ। নিহত আরেক জঙ্গি তৌসিফ জঙ্গি বাহিনীতে নাম লিখিয়েছিল ২০১৮ সালের মে মাসে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের মতে, সাজ্জাদের মৃত্যু বাহিনীর কাছে বড় সাফল্য। কারণ, পুলওয়ামা জঙ্গি হানায় গাড়ির মালিক হিসাবে তার ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। অন্যদিকে, তৌসিফও দীর্ঘদিন যাবৎ নিরাপত্তা বাহিনীর ওয়ান্টেড তালিকায় ছিল। এই তৌসিফই জইশ-ই-মহম্মদের মিলিট্যান্ট পদে সাজ্জাদকে নিয়োগ করেছিল। দীর্ঘদিন ধরেই সে নিয়োগকারীর কাজ করছিল। এছাড়া বিভিন্ন নাশকতামুলক কাজে জড়িত থাকায় একই এলাকায় বসবাসকারী সাজ্জাদ ও তৌসিফকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল পুলিশ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ