
সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের শীর্ষ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
এবং পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আলোচনাপর্বের জল্পনা নাকচ করে দিল
ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। আগামী ১৩-১৪ জুন কিরঘিজস্তানের রাজধানী বিসকেকে
সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
ভারতীয়
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবিশ কুমার সাংবাদিকদের বলেন, “আমি যতদূর জানি,
বিসকেকে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও পাকিস্তানের
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মধ্যে কোনো বৈঠক করার পরিকল্পনা নেই।” সাংহাই
কোঅপারেশন শীর্ষ বৈঠকের পর ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা
সম্ভব কি না, সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আগামী
দিনেও এই ব্যাপার নিয়ে কোনও কথা হওয়ার পরিকল্পনা হয় নি।”
উল্লেখ্য, ২০১৬
সালের জানুয়ারী মাসে পাঠানকোটে ভারতীয় বায়ুসেনা শিবিরের উপর সন্ত্রাসী
হামলার পর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে আলাপ আলোচনা বন্ধ করে দেয় ভারত। কারণ
হিসেবে বলা হয়, আলোচনা এবং সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না। প্রসঙ্গত, ১৩-১৪
জুন কিরঘিজস্তানের রাজধানী বিসকেকে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের শীর্ষ
বৈঠকে অংশগ্রহণ করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রসঙ্গত,
নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এনডিএ ফের দিল্লির মসনদ দখল করার পর ইমরান খান ফোন
করে অভিন্দন জানান প্রধানমন্ত্রীকে। পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি
উপমহাদেশের শান্তি, প্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
উত্তরে মোদী জানান, শান্তি, প্রগতি ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে একযোগে কাজ করার
পূর্বশর্ত হল, সন্ত্রাস ও হিংসামুক্ত পরিবেশে পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা
গড়ে তোলা।
পুলওয়ামার জঙ্গী হামলা এবং তার প্রত্যুত্তরে বালাকোটে ভারতের
বিমান হামলার পর এটাই দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে প্রথম কথপোকথন। ২৩ মে
ভারতের সাধারণ নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর ইমরান মোদীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে
টুইটও করেন। তবে, কিরঘিজস্তানের রাজধানীতে মোদী-ইমরান একান্ত বৈঠক হবে কিনা
তা নিয়ে সংশয় ছিল আগেই। কারণ, অতি সম্প্রতি ঈদ উপলক্ষ্যে ইসলামাবাদে
ভারতীয় দূতাবাসের ইফতার পার্টিতে আমন্ত্রিত অতিথিদের হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছে ভারত।
0 মন্তব্য