
বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন এক যুবক। মৃত যুবকের নাম দীপক চক্রবর্তী ।
বাড়ি বাধারঘাট কো- পাটারেটিভ পাড়া এলাকায়। জানা যায় মিঠুন দে নামে এক বন্ধু
তাকে মোবাইলে এস এম এস করে তাকে দেখা করতে বলে।
এই বিষয়ে কিছুটা সন্দিহান
হয়ে পড়ে দীপক চক্রবর্তী । বার বার ফোনে তাকে দেখা করার জন্য চাপ দেওয়া হয়।
শেষ মেষ সে বাড়ি থেকে বের হয়ে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে যায়। রাতে বাড়ি
ফিরে না আশায় পিতা রঞ্জন চক্রবর্তী ছেলেকে ফোন করে বাড়ি আশার জন্য বলে।
কিন্তু তাঁর পরেও ছেলে ফিরতে দেরি হচ্ছে দেখে আবার ফোন করলে অন্য একজন ফোন
ধরে। পেছনে ছেলের বাঁচার চিৎকার শুনতে পায় পিতা।
রাতে জিবি থেকে জানানো হয়
দীপক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। তাকে দুর্জয়নগর এলাকা থেকে উদ্ধার করে জিবিতে
আনা হয়েছে। দ্রুত পরিবারকে জিবিতে আশার জন্য বলা হয়। সেই মোতাবেক পিতা
রঞ্জন চক্রবর্তী জিবিতে গিয়ে দেখেন তাঁর ছেলে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
এই
ঘটনায় ছেলেকে খুনের অভিযোগ তুলেছে পিতা রঞ্জন চক্রবর্তী । চার জনের নামে এ
ডি নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পিতার প্রশ্ন স্কুটি নিয়ে কেন বাধারঘাট
থেকে দুর্জয়নগর গেল দীপক । কে তাকে নিয়ে গেছে। তবে কেশব সংঘ এলাকায় বাড়ি
থেকে বেড়িয়ে এক জনের সঙ্গে তাঁর হাতাহাতি হয়েছে বলে জানতে পারেন তিনি।
রবিবার ময়না তদন্তের পর মৃত দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। মৃত দেহ
এলাকায় নিয়ে জেতেই নেমে আসে শোকের ছায়া।
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ত মৃত দীপক
চক্রবর্তী । তাঁর ফলাফল বেড়িয়েছে । জুলাই মাসেই দিল্লী যাওয়ার কথা ছিল
তাঁর। তবে তাঁর আগেই এই ঘটনায় জীবন দ্বিপ নিভে গেল দীপক চক্রবর্তীর । জানা
গেছে মৃত দীপক চক্রবর্তীর পিতা রঞ্জন চক্রবর্তী বিজেপি-র পৃষ্ঠা প্রমুখ।
এদিন শ্রদ্ধা জানাতে যান বিজেপি সদর জেলা সভাপতি মানিক লাল দাস। হিংসার
রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয় সরকার। এর তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে
জানান তিনি।
0 মন্তব্যসমূহ