
কাঠুয়া ধর্ষণ-খুন মামলায় সাজা শোনাল আদালত। ৩ প্রধান দোষীর যাবজ্জীবন
কারাদণ্ড ও বাকি তিনজনের পাঁচ বছরের জেলবাসের নির্দেশ দিল পাঠানকোট আদালত।
সোমবার কাঠুয়া ধর্ষণ মামলায় ৭ জন অভিযুক্তের মধ্যে ৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত
করে পাঠানকোট আদালত। বিশাল নামে এক নাবালক অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করা
হয়েছে।
মন্দিরের কেয়ারটেকার সঞ্জি রাম, স্পেশাল পুলিশ অফিসার দীপক খাজুরিয়া
এবং পরবেশ কুমার নামে এক ব্য়ক্তিকে রণবীর দণ্ডবিধির আওতায় যাবজ্জীবন
কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই তিনজনকে গণধর্ষণের দায়ে ২৫ বছর
কারাবাসের নির্দেশ ও এক লক্ষ টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে
জানিয়েছেন আইনজীবীরা। অপরাধের সহযোগী সাব ইন্সপেক্টর আনন্দ দত্ত, হেড
কনস্টেবল তিলক রাজ এবং বিশেষ পুলিশ আধিকারিক সুরেন্দর ভার্মা প্রমাণ নষ্টের
দায়ে দোষী সাব্য়স্ত হয়েছে। এদের পাঁচ বছর করে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া
হয়েছে।
এ মামলায় ১৫ পাতার চার্জশিট পেশ করা হয়েছিল। গত বছরের ১০ জানুয়ারি ৮
বছরের এক বালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায়
অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত সাঞ্জি রাম। এ ঘটনা ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা
দেশ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই বিচারপ্রক্রিয়া কাঠুয়া থেকে পাঠানকোটে
সরানো হয়েছিল। তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের
দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা। তাঁদের আইনজীবীকেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে
বলে অভিযোগ করেছিলেন। সেকারণেই কাঠুয়া থেকে বিচারপ্রক্রিয়া পাঠানকোটে
সরানোর আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি।
0 মন্তব্যসমূহ