
লোকসভায় নতুন করে তিন তালাক বিল পেশ করলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশংকর
প্রসাদ। বিল পেশ করার সময়ে তিনি বলেন মুসলিম মহিলাদের অধিকার রক্ষার্থে এই
বিল সাহায্য করবে।
কংগ্রেস এবং আইমিমের আসাউদ্দিন ওয়াইসির বিরোধিতার মধ্য়েই বিল পেশ করে
রবিশংকর প্রসাদ বলেন, এটা ধর্ম, জাত বা সম্প্রদায়ের বিষয় নয়। এটা মহিলাদের
সম্মানের প্রশ্ন। এই আইনের মাধ্যমে মহিলাদের অধিকার সুরক্ষিত হবে।
সংবিধানের ১৫ নং অনুচ্ছেদ উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, এই আইন তিন তালাকের শিকার
মহিলাদের ন্যায়বিচার এনে দেওয়ার মাধ্যম।
বিল পেশ করার সময়ে বিরোধীরা ব্যাপক আপত্তি তুলেছেন। তাঁদের দাবি ছিল
ট্রেজারি বেঞ্চের অন্যদিকের দলগুলির সঙ্গে আলোচনা না করে এই বিল পেশ করা
উচিত নয়।
কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর এই বিল আনার বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, তিনি
নিজে তিন তালাকের বিরুদ্ধে হলেও একে ফৌজদারি অপরাধ বলে বিবেচনা করা উচিত
নয়। তিনি প্রস্তাব দেন এই বিলের সুবিধা সব সম্প্রদায়ের মহিলাদের ক্ষেত্রেই
লাগু করা উচিত।
তারুর বলেন স্বামী কর্তৃক পরিত্যক্ত শুধু মুসলিম সম্প্রদায়ের মহিলারাই
হন না, অন্য সম্প্রদায়ের মহিলারাও এর শিকার হয়ে থাকেন। ফলে সমস্ত মহিলাদের
সুরক্ষা দেওয়ার জন্য কেন একটি আইন চালু করা হবে না বলে প্রশ্ন করেন তিনি।
আইমিমের আসাউদ্দিন ওয়াইসিও বিজেপিকে এ প্রসঙ্গে এক হাত নেন। তিনি বলেন
বিজেপি মুসলিম মহিলাদের অধিকারের বিষয়ে এত মমতাসম্পন্ন অথচ কেরালার
শবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশের ব্যপারে তাদের ভূমিকা সম্পূর্ণ
বিপরীত। তিনি বলেন, এ বিল সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনকারী কারণ এ অপরাধের জন্য
মুসলিম পুরুষরা তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন, অথচ একই ধরনের অপরাধের
জন্য অমুসলিম পুরুষদের এক বছরের কারাবাস হবে।
এই বিলে তাৎক্ষণিক তিন তালাককে অপরাধ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
ফেব্রুয়ারি মাসে, সংসদের গত অধিবেশনেও বিরোধীরা এ নিয়ে আপত্তি তুলেছিল।
বিরোধীদের যুক্তি ছিল স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য কাউকে জেলে দেওয়া আইনগত
ভাবে সমর্থনযোগ্য নয়।
গত অধিবেশনে এই বিল তামাদি হয়ে যাওয়ার পর অর্ডিন্য়ান্স জারি করে তিন তালাক বেআইনি ঘোষণা করে সরকার।
0 মন্তব্যসমূহ