About Me

header ads

ঝাঁকুনি কমাতে ভারতীয় রেলের নতুন উদ্যোগ!

ট্রেনে চলতে এখন থেকে আর তেমন ঝাঁকুনি লাগবে না। ভারতীয় রেলের নতুন উদ্যোগের সারমর্ম এমনটাই।

সম্প্রতি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, প্রায় দু-দশকের পুরনো জার্মান ‘লিঙ্কে-হফমান-বাস’ কোচের পরিবর্তে দেশের প্রথমসারির ট্রেনগুলিতে বসানো হবে নতুন কোচ। ‘সেন্টার বাফার ক্যুপলার’ নামের কোচগুলিতে যাত্রীস্বাচ্ছন্দ্যের নিরিখে অনেকখানি এগিয়ে।

চলতি বছরের এপ্রিলের শেষে রেলওয়ে সিদ্ধান্ত নেয়, দেশজোড়া প্রায় ৫০০০ রেক বদলে ফেলা হবে। তার মধ্যে রাজধানী এক্সপ্রেসের ৪২টি রেক রয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই রাজধানী এক্সপ্রেস, শতাব্দী এক্লপ্রেস-সহ দেশের প্রথমসারির ট্রেনগুলিতে ঝাঁকুনির অভিযোগ করছিলেন যাত্রীরা। সেই সমস্যা সমাধান করতেই এমন উদ্যোগ।

এক রেল আধিকারিক জানান, রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনগুলি যাত্রীদের সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু যাত্রীদের একাংশ প্রায়শই অভিযোগ করেন যে, হাতের কাপ থেকে ঝাঁকুনির জেরে চা চলকে পড়ে যায়। বার্থগুলিতেও ঝাঁকুনির জেরে সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। এর ফলে দুর্ঘটনার শঙ্কাও বাড়ে। তাঁর কথায়, নতুন কোচগুলি একদিকে যেমন যাত্রীস্বাচ্ছন্দ্যের জন্য কার্যকরী হবে, তেমনই দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও কমাবে। প্রসঙ্গত, সংসদের উভয় কক্ষেই একাধিক বার ভারতীয় রেলে ঝাঁকুনির সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

প্রায় ১০-১৫ বছরের এই সমস্যা সমাধানের জন্য ভারতীয় রেলে কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরেই সচেষ্ট ছিলেন। অবশেষে, আগামী বছরের জানুয়ারি মাস থেকে রাজধানী, শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো ট্রেনগুলিতে যাত্রীরা ঝাঁকুনির হাত থেকে নিস্তার পাবেন বলে আশাবাদী রেলকর্তারা। রেলওয়ে বোর্ডের সদস্য রাজেশ আগরওয়াল বলেন, ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে ঝাঁকুনি মুক্ত ট্রেন পরিষেবা দেওয়ার জন্য উদ্যোগ শুরু হয়। আশা করা যাচ্ছে আগামী বছরের শুরুতেই তার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। প্রাথমিকভাবে প্রথমশ্রেণইর ট্রেনগুলিতেই নতুন ব্যবস্থা চালু হবে। তিনি জানান, ট্রেন ৩০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চলার সময় আচমকা ঝাঁকুনির জন্য যাতে যাত্রীরা সমস্যায় না পড়েন, সেই সংক্রান্ত কাউন্সেলিংও করা হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ