
সপ্তাহের শুরুর দিন সোমবার সকালে ভারী
বৃষ্টির জমা জলে রাজপথ আগরতলা ডুবে গিয়েছে। নিত্যযাত্রীদের পাশাপাশি
নাগরিকরা বেজায় সমস্যায় পড়েছেন৷ বিশেষ করে অফিসযাত্রীদের এদিন নাকাল হতে
হয়েছে৷
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এদিন সকালে ১৪২
মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে৷ এদিকে, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দাবি করেছেন,
বৃষ্টি থেমে যাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই শহরের রাস্তা থেকে জল নেমে গিয়েছে৷
সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়৷ ভারী বর্ষণে স্কুলপড়ুয়া
কচিকাঁচারা বিপাকে পড়ে৷
ভোরের বৃষ্টির পরিমাণ বেশি ছিল না৷
ঝিরঝিরে বৃষ্টি সকাল সাড়ে সাতটা পর্যন্ত অবিরাম পড়তে থাকে৷ তার পর কিছুক্ষণ
বিরাম দিয়ে সকাল সাড়ে আটটা থেকে মুষলধারে শুরু হয় বৃষ্টিপাত৷ ওই বৃষ্টি
আগরতলার বিভিন্ন রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ে৷ তার আগেই অবশ্য কিছু কিছু স্থানে
রাস্তায় জল জমে গিয়েছিল৷
এদিন বনমালিপুর, থানা রোড, চন্দ্রপুরে
অসম-আগরতলা জাতীয় সড়ক, প্যারাডাইস চৌমুহনি, আরএমএস চৌমুহনি, মন্ত্রীবাড়ি
রোড, জ্যাকশন গেইট, আইতরমা, উত্তর গেইট, বিদুরকর্তা চৌমুহনি-সহ বিভিন্ন
স্থানে গলিপথে প্রচণ্ড জল জমে যায়৷ তাতে, নিত্যযাত্রীরা বেজায় সমস্যায়
পড়েন৷ বিশেষ করে আইজিএম হাসপাতালের যাওয়ার রাস্তায় জল জমে যাওয়ায় রোগীদের
নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে পরিবারের সদস্যদের৷
এক পশলা বৃষ্টিতেই তিলোত্তমা নগরী জলমগ্ন
হয়ে পড়ার সমস্যা দীর্ঘদিনের৷ এ-বিষয়ে আগরতলা পুর নিগমের মেয়র ড.
প্রফুল্লজিৎ সিনহার বক্তব্য, শহরে বৃষ্টি হলে জল জমবেই৷ কিন্তু, কত
তাড়াতাড়ি জল নামানো যায় সেদিকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে থাকি৷ তাঁর কথায়, বিভিন্ন
স্থানে বিদ্যুতের সমস্যার কারণে পাম্পগুলি সঠিকভাবে চালানো যাচ্ছে না৷ তাই
জল নিষ্কাশনে জল জমে যায়৷
তাঁর মতে, আগরতলা শহরে সবগুলি পাম্প
একত্রে চালানো গেলে জল নিষ্কাশনে অনেক কম সময় প্রয়োজন হতো৷ তিনি জানান,
আগরতলায় এই মুহূর্তে ১৩টি পাম্প জল নিষ্কাশনে ব্যবহৃত হচ্ছে৷
0 মন্তব্যসমূহ