
কারু শিল্পীদের উৎপাদিত সামগ্রীর বাজারজাত করার উদ্যোগ নিতে নির্দেশ । একই
সঙ্গে পারদর্শী ব্যবস্থার মাধ্যমে যাতে রাজ্যবাসীর লাভ হয় সেদিকে নজরে রেখে
কাজ করতে হবে আধিকারিকদের।
সোমবার ভগৎ সিং যুব আবাসে বাঁশ ভিত্তিক শিল্প
সামগ্রী নিয়ে কর্মশালা সহ আরো দুটি পরিষেবার সূচনা করে এই কথা বলেন
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। ভারতবর্ষে মোট বাঁশ উৎপাদনের ৬৬ শতাংশ হয়
উত্তর - পূর্বাঞ্চল থেকে। এর মধ্যে রয়েছে আসাম, মিজোরাম, সিকিম ও ত্রিপুরা।
৬৬ শতাংশ বাঁশ উৎপাদন হলেও সেই পরিমাণ অর্থ রোজগার করা যায়না। যার মূল
কারন বাজার নেই। এই বাজার রয়েছে চায়না বা অন্যান্য প্রদেশের কাছে। যাদের
কাছে বাঁশ উৎপাদন কম। উত্তর পূর্বাঞ্চল থেকে বাঁশ সংগ্রহ করে সেখানে শিল্প
গড়ে তোলা হচ্ছে। এই রাজ্যে কাঁচামাল, দক্ষ শিল্পী রয়েছে । তাদের কাজে
লাগাতে হবে। বহিঃ রাজ্য ও বিদেশে বাঁশ রপ্তানি না করে রাজ্যের কুটির
শিল্পের মাধ্যমে সামগ্রী প্রস্তুত করতে হবে। এই ক্ষেত্রে ই - মার্কেটিং
ব্যবস্থার সুবিধা নেওয়া যেতে পারে। তাতে করে মধ্যবর্তি কেউ থাকবে না। ১২
দিনের মধ্যে একাউন্টে টাকা পৌঁছে যাবে প্রস্তুত কারকদের। এই ব্যবস্থার
সূচনা করা হয়েছে।
সোমবার আগরতলার ভগৎ যুব আবাসে ত্রিপুরা ব্যাম্বো মিশন
আয়োজিত গভর্মেন্ট ই মার্কেট প্লেস, জাতীয় ব্যাম্বো মিশনের অন্তর্গত বাঁশ
ভিত্তিক শিল্প সামগ্রীর উপর কর্মশালার উদ্বোধন করে এই কথা বলেন
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। ত্রিপুরা ব্যাম্বো মিশনের উদ্যোগে হয় এই
কর্মশালা। অন্যদিকে রাজ্যে আই টি আই প্রতিষ্ঠান গুলিতে ২৪৫০ টি আসনে
বিভিন্ন কোর্সে পড়ার সুবিধা রয়েছে। এবার থেকে সেই প্রতিষ্ঠান গুলিতে ভর্তি
প্রক্রিয়া অন লাইনের মাধ্যমে করা যাবে। তার জন্য একটি ওয়েব পোর্টালেরও
সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন থেকে ঘরে বসে এই সুবিধা নেওয়া যাবে। তার
জন্য কারুর কাছে যেতে হবে না। আগে এর জন্য বহু ঝামেলা পোহাতে হত বলে জানান
মুখ্যমন্ত্রী। বাঁশ সামগ্রী বিক্রি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব
কুমার দেব আরো বলেন ই মার্কেটিং এর মাধ্যমে যখন বিদেশী খদ্দের আসে, তখন
ডলার আসে। আর ডলার আশা মানেই রাজ্যের জিডিপি বাড়বে। সাধারণ মানুষের উপর কর
চাপানো হয়নি। তার পরেও ত্রিপুরায় ২৬ শতাংশ রাজস্ব আদায় হয়েছে। পারদর্শিতার
সঙ্গে কাজ করলে নিজে থেকেই সঞ্চয় বাড়বে। এই পারদর্শী ব্যবস্থার মাধ্যমে
যাতে রাজ্যবাসীর লাভ হয় সেদিকে নজরে রেখে কাজ করতে হবে আধিকারিকদের।
আগামি
তিন বছরের মধ্যে ১ লক্ষ ম্যাট্রিকটন পর্যন্ত ধান ক্রয় করার লক্ষ্য মাত্রা
নেওয়া হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এদিনের অনুষ্ঠানে
ত্রিপুরা ব্যাম্বো মিশনের পক্ষ থেকে বুদ্ধ প্রজাতির বাঁশের চারা
মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন
মুখ্য সচিব ইউ ভেঙ্কটেস্বরলু, ত্রিপুরা ব্যাম্বো মিশনের মিশন অধিকর্তা কিরণ
গিত্যে, উত্তর পূর্বাঞ্চলের জি ই এম- এর বিজনেস ফ্যাসিলিটেটর নীরজ নিকুঞ্জ
সহ অন্যান্যরা।
0 মন্তব্যসমূহ