
দেশে কর্মসংস্থান ইস্যুই প্রথম মোদী সরকারের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
উনিশের নির্বাচনে অভাবনীয় সাফল্যের পর দেশে কর্মসংস্থানে জোয়ার আনতে এবার
উঠেপড়ে লাগল দ্বিতীয় মোদী সরকার। দেশে আর্থিক বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানে গতি
আনতে তৎপর হলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এজন্য বুধবার নতুন ২টি
ক্যাবিনেট কমিটি গড়লেন প্রধানমন্ত্রী। বিনিয়োগ ও বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান ও
দক্ষতা উন্নয়ন নামের দুই কমিটি গড়েছেন নরেন্দ্র মোদী। কমিটি গড়ার ব্যাপারে
সিদ্ধান্ত নিতে মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের
সঙ্গে বৈঠক করেন মোদী। সেই বৈঠকের পরই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন
নমো।
বৃদ্ধি ও বিনিয়োগ নামের ক্যাবিনেট কমিটিতে রয়েছেন মোদী মন্ত্রিসভার ৫
হেভিওয়েট সদস্য। ৫ সদস্যের মধ্যে এই কমিটিতে রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত
শাহ, সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়করি, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ,
রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। বেসরকারি বিনিয়োগ ক্ষেত্রে যেমন নজর রাখবেন এই
মন্ত্রীরা, তেমনই বিদেশি বিনিয়োগে ছাড়পত্র দেওয়ার বিষয়টিও খতিয়ে দেখবেন
তাঁরা।
প্রসঙ্গত, গত অর্থবর্ষে দেশে আর্থিক বৃদ্ধির হার নেমে দাঁড়িয়েছিল ৬.৮
শতাংশ। আর্থিক বৃদ্ধির হারের প্রভাব পড়েছে কর্মসংস্থানেও। পিরিওডিক লেবার
ফোর্স স্টাডির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭-২৮ সালে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৬.১
শতাংশ। দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান ইস্যুতে দেশে কোথায় খামতি রয়েছে, তা
খতিয়ে দেখবে এই নয়া ক্যাবিনেট কমিটি।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে
মোদী সরকারকে বিঁধতে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলোর অন্যতম অস্ত্র ছিল
কর্মসংস্থান ইস্যু। দেশে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি নিয়ে বিরোধীদের ঝাঁঝালো
আক্রমণ শুনতে হয়েছে মোদী বাহিনীকে। দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় ফেরার পর তাই সেই
কর্মসংস্থান ইস্যুতে ঘুরে দাঁড়ানোই মোদী সরকারের কাছে এখন কার্যত চ্যালেঞ্জ
বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
0 মন্তব্যসমূহ