সোমবার রাতে কদমতলা থানাধীন সরসপুর
এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিজ রান্না ঘরে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু
এক বৃদ্ধা মহিলার। মৃতার নাম সুমতি মালাকার (৬০)। স্বামী স্বর্গীয় অমূল্য মালাকার, মহিলার দুই ছেলে অমর,
অমিত মালাকার এক সাথে বাড়িতে থাকতেন।
কিভাবে আগুন লেগেছে তার কারণ
কেউ বলতে পারছে না। ছেলে অমর মালাকার জানায় তাদের রান্না ঘরে আগুন দেখে তার স্ত্রী
চিৎকার দিতেই বাড়ির সামনে থাকা দোকান থেকে দৌড়ে আসেন অমর মালাকার কিছু বোঝে উঠার আগেই আগুন ধাউ ধাউ করে জলে উঠে,
মায়ের খোঁজ করতে গিয়ে মাকে না পেয়ে চিৎকার করেন তিনি কিন্তু ততক্ষণে
আগুন পুর রান্না ঘরকে ঘ্রাস করে নিয়েছে। আর এই ঘরেই ছিলেন ৬০ বর্ষীয় বৃদ্ধা মহিলা
সুমতি মালাকার। সম্ভবত তিনি চা করতে গিয়ে ছিলেন রান্না ঘরে।
ছেলে অমর মালাকার
জানায় রান্না ঘরের উপর দিকে প্রথমে আগুন দেখতে পান তিনি তাই তিনি ধারণা করছেন
বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। রান্না ঘরের সাথেই ছিল ছেলের মোদী
দোকানের গোডাউন, সাথে গোডাউনে মালপত্র থাকায় আগুন আরও বিরাট
আকার ধারন করে। কারণ গোডাউনে প্রায় ২০টার মত ভর্তি টিনের ডাব্বা ছিল। তাই আগুন
দ্রুত ছড়ায়। আগুনে পুড়ে ছাই রান্না ঘর সহ গডাউন। ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ প্রায়
লক্ষাধিক টাকা বলে জানিয়েছেন অমর মালাকার।
এদিকে আগুন লাগার খবর সঠিক সময়ে
প্রেমতলার দমকল বাহিনীর কাছে পৌঁছালেও প্রায় ১ ঘণ্টা পরে দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে
পৌঁছায়। কারণ প্রেমতলা থেকে সরলা যাবার রাস্তাটি খুব খারাপ থাকার কারণে, মহেশপুর হয়ে যেতে হয় দমকলের গাড়িটিকে। প্রেমতলা থেকে সরলা এই রাস্তায়
বড় গাড়ি না যেতে পূর্ত দপ্তর থেকে দমকল বাহিনীকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার কপি
সাথে দেওয়া হয়েছে। তাই মহেষপুর হয়ে যেতে হয় দমকলের গাড়িটিকে। তাই জনতার মধ্যে ক্ষোভ
দেখা যায়। সাথে সাথে বিশাল পুলিশবাহিনী এবং এস ডি পি ও রাজিব সূত্রধর ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, পুলিসের
হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এলাকার মানুষের বক্তব্য প্রেমতলা থেকে সরলা যাবার
রাস্তা দ্রুত সারাই করুক সরকার।
0 মন্তব্যসমূহ