
হাফলং ছড়া চা বাগানে নিষ্পাপ শিশুকে ধর্ষণ শেষে খুনের ঘটনায় জড়িত মূল
অভিযুক্ত দুজন কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত দুজনের বাড়ি ধর্মনগর
পদ্মপুর এলাকায়। সৌরভ নাথ বয়স উনিশ দিবাকর দাস বয়স বিশ দুজনেই এখন
পুলিশি হেফাজতে আছে। প্রাথমিক তদন্তের জন্য পুলিশ তাদের জিঙ্গাসাবাদ চালাচ্ছে। তাদের কাছ থেকে একটি স্কুটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। যে
স্কুটি এই নারকীয় ঘটনায় ব্যবহার করা হয়েছিল। জেরার মুখে অভিযুক্তরা ঘটনার সততা স্বীকার করেছে। দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্মনগর থানায় ২০/১৯ নম্বরে ও ৩০২/২০১ ধারায় মামলা নথিভুক্ত হয়েছে।

ক্ষুব্ধ জনতার হাতে পুড়ল নাবালিকা ধর্ষন ও খুনের মামলার এক অভিযুক্ত সৌরভ নাথের পদ্মপুর স্থিত তার বাড়ি এবং আসবাবপত্র। অভিযোগ, উত্তেজিত জনতা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে
দিয়েছে তার বাড়ি এবং আসবাবপত্র। যদিও এই অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কে বা কারা তা এখনো জানা যায়নি।
ঘটনাস্থলে অগ্নিনির্বাপক দপ্তরের লোক এবং ধর্মনগর থানার পুলিশ ছুটে গেছেন।
জানা গেছে, সৌরভ নাথের বাবার নাম সুশীল নাথ উনি শিক্ষকতা করেন এবং উনার আরো
একটি বাড়ি রয়েছে কাঞ্চনপুর মহকুমার অন্তর্গত সাতনালা এলাকায়।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৮ই জুন ২০১৯) সকাল আনুমানিক ১০টায় ধর্মনগর থানায় খবর আসে হাফলং কারগিল টিলা চা
বাগানের একটি ছড়ার ধারে এক নাবালিকার অর্ধনগ্ন দেহ পাওয়া গেছে। সাথে সাথে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনা স্থলে ছূটে যান ধর্মনগরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক
রাজিব সুত্রধর। ময়নাতদন্তের জন্য মেয়েটিকে ধর্মনগর জেলা হাসপাতাল
নিয়ে আসা হয়। এদিকে ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরেই মেয়েটির পরনের পেন্ট উদ্ধার
করেছে পুলিশ। তাই এস ডি পি ও জানিয়েছেন ধর্ষণের পরে খুন বলেই প্রাথমিক ভাবে
ধারনা করা হচ্ছে।
0 মন্তব্যসমূহ