
উত্তর ২৪ পরগণা জেলার কামারাহাটির সাগর
দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু মৃত্যু। জুনিয়ার ডাক্তারদের কর্মবিরতির
জেরে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তুললেন মৃত শিশুর পরিবারের
লোকেরা।
মৃত শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে
যে চলতি মাসের গত ১১ তারিখ মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা অভিজিৎ মল্লিকের স্ত্রী
ঝুম্পা মল্লিক একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। জন্মের পরেই শিশুর শারীরিক
অবস্থার অবনতি হয়। সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকেরা জানায় শিশুকে
ভেন্টিলেশনে রাখতে হবে।
এরপর থেকেই শিশুটির আত্মীয়রা গত দুদিন
ধরে কলকাতার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে শিশুটিকে নিয়ে যান। কিন্তু জুনিয়র
ডাক্তারদের কর্মবিরতি ফলে কোন হাসপাতালেই ওই অসুস্থ শিশুটিকে ভরতি করতে
পারেনি। কার্যত বিনা চিকিৎসায় বৃহস্পতিবার সকালে শ্বাসকষ্ট জনিত কারনে
শিশুটির মৃত্যু হয়।
শিশুটির মৃত্যুর খবর জানতে পেরে কান্নায়
ভেঙে পরেন শিশুটির বাবা ও অন্যান্য আত্মীয়রা। শিশুর বাবা অভিজিৎ মল্লিক
বলেছেন, “সুস্থ বাচ্চা হয়েছিলো আমাদের কিন্তু তার শ্বাসকষ্ট হওয়ায়
ডাক্তারেরা ভেন্টিলেশনে রাখার কথা বলেন। সেই মতো আমরা এনআরএস হাসপাতাল,
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে গিয়েছি। কিন্তু কোনও
হাসপাতালই ভরতি নেয়নি।”
এই শিশুর মৃত্যুর জন্য কলকাতার জুনিয়র
ডাক্তারদের কর্মবিরতিকেই দায়ী করেছেন অভিজিৎ বাবু। তিনি অভিযোগ করেন যে ”
ডাক্তারদের কর্মবিরতি ফলেই আমাদের শিশুটির মৃত্যু হয়েছে এমন কি স্বাস্থ্য
ভবনে ফোন করা সত্বেও কোন ভাবে সহযোগিতা করেননি তারা।”
অন্য দিকে এই শিশু মৃত্যু ঘটনা ঘটার পরেও
কোন ভাবেই কোন উন্নতি হয় নি সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা
পরিষেবার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুশিয়ারি কে বুড়ো আঙ্গুল
দেখিয় নিরাপত্তার দাবীতে সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১১ জন ডাক্তার
তাদের বিভাগীয় প্রধানের কাছে তাদের ইস্তফা পত্র জমা দেন। ফলে এই সুপার
স্পেশালিটি হাসপাতলটির চিকিৎসা পরিষেবা আরো খারাপ হবে বলেই স্থানীয়
বাসিন্দাদের দাবি।
0 মন্তব্যসমূহ