
বেশ কিছু দিন ধরে ধর্মনগরে বাইক চুরির হিড়িক পড়েছে, প্রতিদিন শহরের কোথাও না কোথাও বাইক চুরির ঘটনা ঘটছে। এখন পর্যন্ত ধর্মনগর থেকে বেশ কিছু বাইক চুরি হলেও ধর্মনগর থানা কিছু বাইক উদ্ধার করে মালিকের হাতে তুলে দিয়েছে, এর মধ্যে ৭টি বাইক চুরির মামলা থানায় রয়েছে।
ইদানিং ধর্মনগরে বাইক চুরি বেড়ে যাওয়ায়
পুলিসের ভুমিকায় খুব্দ ছিল মানুষ, উত্তর জেলা পুলিস বেকফুটে
ছিল। ইদানিং কালের প্রথম বাইক চুরির ঘটনার পর পুলিস সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী দফায়
দফায় কেয়েক বার বিভিন্ন থানার পুলিস অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে বাইক চুরি
আটকাতে ও চোরদের আটক করতে প্রথম থেকে প্রশাসন থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হলেও বাইক চুরি
আটকাতে ও চোরদের আটক করতে বের্থ হয় পুলিস।
চোররা পুলিসকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে দিনে -
দুপুরে শহরের ব্যস্ততম জায়গা থেকে বাইক নিয়ে চম্পট দেয়। তারপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন
পুনরায় পুলিস সুপার আরক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন,
বৈঠকে পুলিস সুপার বেশ কয়েকটি টিম তৈরি করে মাঠে নামান। শুরু হয়
বাইক চোর আটক অভিযান। মাঠে নেমে পুলিস জানতে পারে শহরে ৩টি বাইক চোরের গ্যাং
সক্রিয় রয়েছে। যারা ত্রিপুরার কদমতলা, চোরাইবাড়ি ও আসাম
রাজ্যের কাঠলথলী এলাকার যুবক। উত্তর জেলার অন্য জায়গার কিছু যুবক এই বাইক চুরি
কাণ্ডে জড়িত রয়েছে তাদের কথা পুলিস তদন্তের স্বার্থে এখনই বলতে চাইছে না।
শুক্রবার
রাতে পুলিসের কাছে পুলিস সুত্রে খবর আসে চুড়াইবাড়ি রেল গেইট এলাকার নেতাজী পাড়ার
তমির আলির ছেলে হাসান আলী (১৯) এই বাইক চুরি কাণ্ডে জড়িত রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে
ধর্মনগর থানার ওসি দেবপ্রসাদ রায় ৩জন সাব ইনস্পেক্টর নিয়ে চুড়াইবাড়ি থেকে হাসান
আলীকে গ্রেফতার করে ধর্মনগর থানায় নিয়ে আসেন, জিজ্ঞাসাবাদে
সে জানায় দুইটি বাইক সে ধর্মনগর শহর থেকে চুরি করে আসামের কাঁঠালথলি এলাকায় তার
বন্ধু পারুল হুসেনের (২২) বাড়িতে রেখেছে, সেই মোতাবেক রাতে
আসামের কাঁঠালথলি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে পারুলের বাড়ি থেকে ধর্মনগর থানা হানা
দিয়ে দুইটি বাইক সহ পারুল হুসেনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে এসেছে। ধর্মনগর থানায়
দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিস আরও কিছু তথ্য পেয়েছে, যা পুলিস
তদন্তের স্বার্থে এখনই বলতে চাইছে না।
0 মন্তব্যসমূহ