
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে বিয়ে করতে অনিহা
প্রকাশ। এমনকি মঙ্গলাচরণ হওয়ার পড়েও টানা শারিরীক সম্পর্ক চালিয়ে যায়
অভিযুক্ত। শেষ পর্যন্ত বিয়ের জন্য তারিখ নির্ধারণ করতে মেয়ের বাড়ি থেকে চাপ
দিতেই বেকে বসে ছেলের পরিবার। একের পর এক তারিখ দেওয়া হয় ছেলের পরিবারের
থেকে। এরই মধ্যে ছেলেটি মেয়েটিকে ফোন করে জানায় ইতিমধ্যেই সে আরেকটি মেয়ের
সঙ্গে রেজিস্ট্রি বিবাহ করেছে। তার পক্ষ্যে আর বিয়ে করা সম্ভব নয়। দুজনের
ছবিও প্রতারিত মেয়েটিকে পাঠায় অভিযুক্ত।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ জুন
জিরানীয়া থানায় অভিযুক্ত কুলজিৎ দেববর্মার নামে মামলা দায়ের করে মেয়েটি।
কিন্তু জিরানীয়া থানা মামলাটি রেজিস্টার করেনি বলে অভিযোগ। ছেলেটি এলে
মামলা নথিভুক্ত করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। এই অবস্থায় ফের একবার থানার
দারস্থ হয় নির্যাতিতা।
অবশেষে চাপে পড়ে নড়েচড়ে বসে জিরানীয়া থানা। ছেলেকে
থানায় দেখা করার নির্দেশ দেয় পুলিশ। সেই মোতাবেক শনিবার জিরানীয়া থানায় আসে
অভিযুক্ত কুলজিৎ দেববর্মা। এর পরই তাকে আটক করে জিরানীয়া থানার পুলিশ।
মামলার নম্বর ৫৫/ ১৯।
জানা গেছে অভিযুক্ত কুলজিৎ দেববর্মা নার্সিং পাশ
করে ব্যাঙ্গালোরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্তব্যরত ছিল। তার বাড়ি
কামালঘাটের ভাটি ফটিকছড়ায়। ২০১৩ সাল থেকে তাদের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক গরে
ওঠে। ২০১৭ সালে দুজনের মঙ্গলাচরণ হয়। এরপর বিয়ের দিন ধার্য করা নিয়ে টাল
বাহান করতে থাকে ছেলে পক্ষ। শেষ পর্যন্ত নির্যাতিতাকে বিয়ে করবে না বলে
জানিয়ে দেয় অভিযুক্ত কুলজিৎ দেববর্মা।
অবশেষে সব চেষ্টার পর পুলিশ তাকে
গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনায় ন্যায় বিচার চাইছে নির্যাতিতার পরিবার। তবে
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে নির্যাতিতা। এই ঘটনা সম্পর্কে জানান
জিরানীয়া থানার ওসি বাবুল দাস।
0 মন্তব্যসমূহ