
সংকল্প পত্রে বিজেপির প্রতিশ্রুতি ছিল,
ফের ক্ষমতায় এলে তিন তালাক বিরোধী বিল পাশ করিয়েই ছাড়বে৷ সেই ‘সংকল্প’
রক্ষায় শুরু থেকে তৎপর গেরুয়া শিবির৷ সোমবার কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবি
শঙ্কর প্রসাদ জানান, ফের সংসদে তিন তালাক বিরোধী বিল পেশ করা হবে৷
প্রথম মোদী সরকারের বিতর্কিত বিলগুলির
একটি তিন তালাক বিল৷ লোকসভায় সেটি পাশ হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে
রাজ্যসভায় বিলটি পাশ করাতে পারেনি বিজেপি৷ সেখানে ঝুলেই থাকে বিলটি৷ তারপর
সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়৷ নির্বাচনের পর সেই বিজেপিই ফের ক্ষমতায়৷
আর গতবারের থেকে অনেক শক্তিও বেড়েছে তাদের৷ এদিন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীকে
তিন তালাক বিল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান অবশ্যই বিলটি সংসদে পেশ
হবে৷ তাছাড়া তিন তালাক বিল পাশ করানোর কথা বিজেপির সংকল্প পত্রে উল্লেখ ছিল৷
প্রথম মোদী সরকারের আমলে তিন
তালাক বিরোধী বিল নিম্নকক্ষে পাশ হলেও রাজ্যসভায় আটকে যায়৷ নিয়ম
অনুযায়ী, লোকসভা ভেঙে গেলে রাজ্যসভায় ঝুলে থাকা বিলগুলির কোনও গুরুত্ব
থাকে না৷ লোকসভায় কোনও বিল পাশ হলেও যেহেতু সেটি রাজ্যসভায় পাশ করেনি তাই
নতুন করে আবারও বিলটি পেশ করতে হবে৷ তিন তালাক বিরোধী বিলটি পাশ করিয়ে
আইনে রূপান্তরিত করতে গেলে দ্বিতীয় মোদী সরকারকে সংসদের দুটি কক্ষেই
বিলটিকে পেশ করে পাশ করাতে হবে৷
২০১৮ সালের অগষ্ট মাসে সুপ্রিম কোর্ট এক
ঐতিহাসিক রায়ে তিন তালাককে অবৈধ ঘোষণা করে৷ এরপরই শীর্ষ আদালত কেন্দ্রকে
নয়া আইন আনার নির্দেশ দেয়৷ সেই মতো মুসলিম ওম্যান প্রোটেকশন অফ রাইটস অন
ম্যারেজ বিল নিয়ে আসে কেন্দ্রীয় সরকার৷ কিন্তু বিলটি লোকসভায় পেশ হলে
বিরোধীদের প্রবল বিরোধিতার জেরে রাজ্যসভায় আটকে যায়৷ তাই কেন্দ্রকে
অর্ডিন্যান্স এনে বিলটিকে আইনি পরিণত করার চেষ্টা করে৷ দু’বার অর্ডিন্যান্স
আনে কেন্দ্র৷ ফলে কোনও মুসলিম মহিলাকে তাঁর স্বামী তাৎক্ষণিক তিন তালাক
দিলে তা অবৈধ ও শর্তসাপেক্ষে জামিন অযোগ্য ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে
গণ্য হয়৷