ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল মঙ্গলবারেই। বৃহস্পতিবার ভারতীয়
বায়ুসেনার (আইএএফ) পক্ষ থেকে জানানো হয়, খুঁজে পাওয়া এএন-৩২ বিমানের ১৩ জন
যাত্রীর মধ্যে বেঁচে নেই কেউ। অরুণাচল প্রদেশে নিখোঁজ বিমানের ধ্বংসাবশেষের
খবর পাওয়ার দু’দিন পর এই ঘোষণা করা হয় বায়ুসেনার পক্ষ থেকে।
#Update on #An32 crash: Eight members of the rescue team have reached the crash site today morning. IAF is sad to inform that there are no survivors from the crash of An32.— Indian Air Force (@IAF_MCC) June 13, 2019
নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু
টুইট করে বলেন, “বায়ুসেনাদের এই মৃত্যু হৃদয়বিদারক। বায়ুসেনার শহীদদের
প্রতি আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা রইল। তাঁদের পরিবারকে আমার গভীর সমবেদনা জানাই।
ঈশ্বরের কাছে আবেদন করি তিনি যেন এই দুঃখের সময়ে তাঁদের পাশে থেকে, যে
অপ্রত্যাশিত ক্ষতি তাঁদের হয়েছে তা সহ্য করার শক্তি দেন।”
প্রসঙ্গত, ৩ জুন বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ আসামের জোড়হাট থেকে অরুণাচল
প্রদেশের মেচুকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল বায়ুসেনার এই বিমান। দুপুর একটার
সময় শেষবার যোগাযোগ করা যায় বিমানটির সঙ্গে। এরপরই বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ
বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘটনাটির এক সপ্তাহ বাদে ১১ জুন খোঁজ মেলে বিমানবাহিনীর
হারানো এএন ৩২ বিমানের। টুইটারে এ খবরের সত্যতা স্বীকার করে বিমানবাহিনী।
বায়ুসেনার মুখপাত্র উইং কম্যান্ডার রত্নাঙ্কর সিং এর আগে জানান,
“উত্তরপূর্বের টাটো এলাকায়, লিপো এলাকা থেকে ১৬ কিমি উত্তরে ১২ হাজার ফিট
উচ্চতায় ভারতীয় বিমানবাহিনীর এমআই ১৭ হেলিকপ্টারের সহায়তায় পাওয়া গেছে
বিমানের ধ্বংসাবশেষ।”
উল্লেখ্য, ভারতীয় বায়ুসেনার এই বিমানটির নিখোঁজ হওয়ার
সংবাদ পাওয়ার পরেই বিভিন্ন সংস্থা, যেমন সেনাবাহিনী, ভারতীয় নৌসেনা, ইসরো,
স্টেট পুলিশ, জেলা আধিকারিক সকলের সহায়তায় বিমানটির খোঁজ পর্ব চালানো হয়।
ভারতীয় নৌসেনার সি-১৩০ যুদ্ধবিমান, এসইউ-৩০এমকেআই, পিএইটআই লং রেঞ্জ
পরিদর্শনকারী বিমান, আধুনিক হেলিকপ্টার, এমআই-১৭ এবং চিতা হেলিকপ্টার
মোতায়েন করে এমনকি স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া ছবি বিশ্লেষণ করে সমগ্র
প্রক্রিয়াটি চালানো হয়েছিল।
0 মন্তব্যসমূহ