
ত্রিপুরার আইপিএফটি একজন বিধায়ক অবশেষে হার মানতে বাধ্য হলেন । তাঁর
বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা মহিলাকেই শেষমেশ বিয়ে করতে বাধ্য হলেন তিনি।
উল্লেখ্য,
২০ মে ত্রিপুরার রাইমা ভ্যালি কেন্দ্রের বিধায়ক ধনঞ্জয়ের বিরুদ্ধে আগরতলা
মহিলা থানায় অভিযোগ দাখিল করেন মেয়েটি । ২৭ বছরের ধনঞ্জয়ের বিরুদ্ধে বিয়ের
প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস ও ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি।
জানিয়েছেন, ২০১০ সালে যখন তাঁর সঙ্গে কলেজ ছাত্র ধনঞ্জয়ের প্রথম দেখা হয় তখন তিনি বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
এর বছর খানেকের মধ্যে ধনঞ্জয় ও মেয়েটির মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয় । বহুবার মেয়েটি প্রেমিকের বাড়িতে গিয়েওছেন বলে দাবি জানান তিনি । এবং ধনঞ্জয় তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি পর্যন্ত দিয়েছিলেন।
সম্পর্ক অস্বীকার করার কথা
উল্লেখ করে তিনি জানান ‘আমাকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়, কিন্তু আমি
জানতামই না যে ও সম্পর্কটা অস্বীকার করবে’।
ধনঞ্জয় এর বিরুদ্ধে
ত্রিপুরা উচ্চ ন্যায়ালয়ের দ্বারস্থ হন। কিন্তু ১ জুলাই উচ্চ ন্যায়ালয়
ধনঞ্জয়ের আগাম জামিনের আবেদনও খারিজ করে দেয় ন্যায়ালয় ।
বিয়েটা কেন হচ্ছে না, তা জানতে চেয়ে রিপোর্টও দিতে নির্দেশ দেয়। এমন আইনী চাপে পড়ে মেয়েটিকে বিয়ে করেন বিধায়ক।
সোমবার সংবাদমাধ্যমকে জানালেন তিনি, ‘আগরতলায় চতুর্দশ দেবতার মন্দিরে আমি মেয়েটিকে বিয়ে করেছি।’
অপরদিকে, মেয়েটিও জানিয়েছেন, তিনি বিধায়কের উপর থেকে সব অভিযোগ তুলে নিয়েছেন।
0 মন্তব্যসমূহ