
রিলায়েন্স গোষ্ঠীর দুই সংস্থা ‘রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড’ এবং
‘রোজা পাওয়ার সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড’ -এর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত দাবি
করেছে ডিরেক্টোরেট অব রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)। ২০১০ থেকে ২০১৫-এর
মধ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা কয়লা বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ ওঠে ওই
দুই সংস্থার বিরুদ্ধে।
সূত্রের খবর, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৮-র এক চিঠিতে ডিআরআই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা
সংস্থাকে রিলায়েন্সের দুই সংস্থার বিরুদ্ধে যথার্থ আইনি ব্যবস্থা নিতে বলা
হয়েছিল। রিলায়েন্সের বিরুদ্ধে ৩৮৬ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ ওঠে।
সিবিআই এখনও প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেনি। তবে সূত্রের খবর সংস্থার
বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখা হবে। ইন্দোনেশিয়া
থেকে আমদানি করা কয়লার বেআইনি ভাবে অনেক বেশি দাম রাখায় জনসাধারণকে পাওয়ার
টারিফের জন্য অনেক বেশি টাকা দিতে হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে রিলায়েন্স গোষ্ঠীর মুখপাত্র, সিবিআই এবং ডিআরআই-এর তরফে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের ফোন অথবা ইমেলের জবাব দেওয়া হয়নি।
ইতিমধ্যে সিবিআই ‘কোস্টাল এনার্জি প্রাইভেট লিমিটেড’ এবং ‘নলেজ
ইনফাস্ট্রাকচার সিস্টেম প্রাইভেট লিমিটেড’ নামের দুই সংস্থার বিরুদ্ধে
তদন্ত শুরু করেছে। ডিআরআই আদানি গোষ্ঠী, এসার গোষ্ঠী সহ প্রায় ৪০ টি
সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে।
ডিআরআই এর অভিযোগ বাড়তি টাকা বিদেশে পাচার করেছে রিলায়েন্স গোষ্ঠী এবং
উপভোক্তা রীতি লঙ্ঘন করা ছাড়াও বিদ্যুৎ আইন, ২০০৩, আয়কর আইন ১৯৬১, ফরেন
এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট, ১৯৯৯, তহবিল তছ্রুপ বিরোধী আইন ২০০২,
কোম্পানি আইন ২০১৩ এবং সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া
অ্যাক্ট ১৯৯২ লঙ্ঘন করা হয়েছে।
ডিআরআই এর অভিযোগ আমদানি হওয়া কয়লার অধিকাংশই সরবরাহ করা হয়েছে
মহারাষ্ট্রের দহনু পাওয়ার জেনারেশন প্লান্ট এবং উত্তরপ্রদেশের পাওয়ার
প্লান্টে। দুটোই রিলায়েন্স গোষ্ঠীর।
0 মন্তব্যসমূহ