
ধর্মনগর পূর্ব-হুরুয়ার, গোয়ালা বস্তি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ বাড়িতে খুন এক
৬১ বর্ষীয় মহিলা কাঞ্চন বালা নাথ। নিজ বাড়িতে মানসিক ভারসাম্যহিন ছেলে
উত্তমকে নিয়ে থাকতেন কাঞ্চন বালা নাথ। স্বামী গৌরি চরণ নাথ ও আরেক ছেলে
গৌতম নাথ তারা বাইরে থাকে। গত রাতে মা ও ছেলে একই ঘরের ভেতরে পাশাপাশি
ক্ষখে ছিল তারা।
রবিবার সকালে মানসিক ভারসাম্যহিন ছেলে উত্তম মাকে ডাকলে মা
ঘুম থেকে না উঠায় সে আর তার মাকে ডাকে নি। এদিন সকাল ৯টা নাগাদ কাঞ্চন
বালা নাথের ছোট বোন বুলি নাথ (৫৬) দিদিকে ডাকতে এলে তিনি দেখতে পান কাঞ্চন
বালা নাথ মৃত অবস্থায় নিজ ঘরে মশারীর ভেতরে পড়ে আছেন। এদেখে তিনি ভয়ে
চিৎকার শুরু করেন, পাড়া প্রতিবেশীকে খবর দিলে তারা এসে দেখে তাদের আত্মীয়
পরিজনদের খবর দেয়।
ঘটনার খবর পেয়ে কাঞ্চন বালা নাথে মেয়ে ও নাতনি ঘটনাস্থলে
ছুটে আসে। খবর দেওয়া হয় ধর্মনগর মহিলা থানায়, পুলিস ও টিএসআর নিয়ে
ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন মহিলা থানার ওসি স্বর্ণা দেববর্মা ও অতিরিক্ত পুলিস
সুপার ফ্রান্সিস ডারলং, প্রাথমিক তদন্তের পর খবর দেওয়া হয় ফরেনসিক টিম ও
পুলিস কুকুরকে। কাঞ্চন বালা নাথের বোন বুলি নাথ জানান কিছু দিন আগে বাড়ির
সামনের মোদী দোকানের মালিক রানু দাসের সাথে দোকান বাকি নিয়ে ঝগড়া হয়েছিল
কাঞ্চন বালা নাথের। যে সমস্যার সমাধান তিনি শেষ করে দেন দোকান বাকি মিটিয়ে,
কিন্তু এরপরও দোকানের মালিক রানু দাস কাঞ্চন বালা নাথকে দেখে নেওয়ার হুমকি
দেয়, আজ এই ঘটনার পর থেকে রানু দাস একবারের জন্য এলাকায় দেখা যায় নি ও
দোকান খুলে নি। অন্য দিকে এলাকার মানুষ থেকে জানা যায় পারিবারিক সম্পত্তির
বিবাদ ছিল ভাই বোনের মধ্যে এর আগেও পারিবারিক সম্পত্তির বিবাদ মেটাতে পুলিস
গিয়েছিল ঐ বাড়িতে। এখন দেখার পুলিস এই খুনের তদন্ত করে কি বের করে। কারণ
পুলিস এখনই এই খুনের বিষয়ে কিছু বলতে পারছে না। তবে খুন হয়েছেন কাঞ্চন বালা
নাথ এটা সন্দেহ নেই কারণ মৃতার গলায় ও ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
এদিকে
এলাকার বিজেপি নেতৃত্বরা প্রকৃত খুনিকে চিহ্নিত করে খুনির দৃষ্টান্ত মূলক
শাস্তির দাবী জানিয়েছেন পুলিসের কাছে। তবে এলাকার মানুষের ধারণা পরিকল্পিত
ভাবে খুন করা হয়েছে কাঞ্চন বালা নাথকে, এর আগে এই ধরনের ঘটনা এই গ্রামে
ঘটেনি, ঘটনা জানাজানি হতেই আতংক বিরাজ করছে গোটা এলাকায়। এর সঠিক তদন্ত হলে
আসল রহস্য বেড়িয়ে আসবে।
0 মন্তব্যসমূহ