
ভারত, চিন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং তুরস্ক, এই পাঁচটি দেশকে রবিবার
ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়ে দিল, ইরানের থেকে তেল রফতানি করলে মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রকে জরিমানা দিতে হবে এখন থেকে। ইরানের কাছ থেকে তেল রফতানির
ক্ষেত্রে পাঁচটি দেশ মার্কিন প্রশাসনের কাছ থেকে জরিমানা বা শাস্তি মকুবের
যে অনুমতি পায়, তা এবার তুলে নেওয়া হবে, এরকমই এক ঘোষণা করতে চলেছেন
মার্কিন রাষ্ট্রসচিব মাইক পম্পিও। জরিমানা মকুবের বর্তমান চুক্তিটির মেয়াদ
শেষ হচ্ছে আগামী ২ মে।
তবে পাঁচটি দেশকে ইরানের থেকে তেল রফতানির জন্য বাড়তি সময় দেওয়া হবে, না
কি আগামী ৩ মে থেকেই নতুন নিয়ম লাগু হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। মার্কিন
রাষ্ট্রসচিবের সরকারি ঘোষণার আগে বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করছেন না ট্রাম্প
প্রশাসনের অধীনে কাজ করা কোনও আধিকারিকই।
মার্কিন প্রশাসন জরিমানা বা
শাস্তি মকুবের চুক্তি পুনর্নবীকরণের পথে যাবে না, এমন খবর প্রথম প্রকাশিত
করেছিল ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’। সূত্রের খবর, গত শুক্রবারই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ইরানের ওপর চাপ
(বিদেশে তেল রফতানি করে ইরানের মুনাফা যাতে না বাড়ে) বাড়াতেই আমেরিকার এই
সিদ্ধান্ত। অনুমান করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক বাজারে মার্কিন এই সিদ্ধান্তের
ফলে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়তে পারে প্রায় তিন শতাংশ।
মার্কিন আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তেল রফতানিতে নতুন শর্ত চাপানোয় চাহিদার
উপর তেমন কোনও প্রভাব পড়বে না, কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরব তেল
উৎপাদক দেশগুলির মধ্যে অন্যতম।
যে আটটি দেশকে ইরান থেকে তেল রফতানির জন্য জরিমানা মকুব করেছিল মার্কিন
প্রশাসন, তার মধ্যে তিনটি দেশ, ইতালি, গ্রিস এবং তাইওয়ান, ইরান থেকে আগেই
তেল রফতানি বন্ধ করেছে।