
ভার্চুয়াল ওয়ার্লডে আটকে না থেকে বাস্তব পৃ্থিবীর মুখোমুখি
হোন, শুক্রবার যুবক-যুবতীদের কাছে এই অনুরোধ করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল
গান্ধী।
মহারাষ্ট্রের পুনেতে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “বাস্তবতা থেকে আপনারা
পালাতে পারবেন না। শেষ পর্যন্ত এই বাস্তব পৃথিবীর বুকে দাঁড়িয়েই আপনাদের
কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, এবং পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দিতে হবে। টুইটার
আপনার বাবা-মাকে দেখবে না। এখন আপনাকে বেছে নিতে হবে যে আপনি রিয়েল
ওয়ার্লডে থাকবেন না ভারচুয়াল ওয়ার্লডে।”
রাহুল বলেন, “আমি বাস্তবতায় বাস করি। আমার মতে ঘৃণা, রাগ, হিংসা, এসব কারও উপকারে লাগে না, বরং এসব সকলেরই ক্ষতিসাধন করে।”
কংগ্রেস সভাপতি বলেন তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ভালবাসেন।
“আমার মোদীর ওপর কোনও রাগ নেই। কিন্তু একটা তফাৎ আছে। উনি আমার সম্পর্কে
একই রকম মনোভাব পোষণ করেন না। ওঁর আমার সম্পর্কে ঘৃণা, রাগ রয়েছে।”
অল্প সংখ্যক ছাত্র মোদীর নাম গুঞ্জন করতে শুরু করলে রাহুল বলেন, “ঠিক আছে। আমার এ নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।”
এর আগে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, যুবসমাজের মুখোমুখি হওয়ার হিম্মৎ তাঁর
রয়েছে। “আমি জনসমক্ষে জবাবদিহি করার জন্য এসেছি। প্রধানমন্ত্রী কেন খোলা
অনুষ্ঠানে যান না! এ সব অ্যাটিটিউডের ব্যাপার।”
রাহুল গান্ধী বলেন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তিনি চান মানুষ তাঁকে প্রশ্ন
করুক। “মানুষের উচিত কথা বলা এবং আমাকে অস্বস্তিতে ফেলা। কিছু প্রশ্ন আমার
ভাল লাগতেও পারে অথবা কিছু প্রশ্ন নাও ভাল লাগতে পারে, কিন্তু আমি উত্তর
দেওয়ার জন্য রয়েছি। সে মুহূর্তে আমি জবাব দিতে পারছি না এমন কিছু চমৎকার
প্রশ্নের সামনে পড়লে আমি খুশিই হব।”
রাজনৈতিক নেতাদের অবসরের বয়স সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,
“রাজনীতিবিদদের অবসরের বয়স থাকা উচিত।” অনুষ্ঠানে উপস্থিত যুবকদের তিনি
বলেন ষাট বছর বয়স অবসরের পক্ষে উপযুক্ত।
বালাকোটের বিমান হামলার কৃতিত্ব কাকে দেওয়া উচিত এ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে
রাহুল গান্ধী বলেন, এ কৃতিত্ব বায়ুসেনার প্রাপ্য। বিমান হামলার
রাজনীতিকরণের যে তিনি বিরোধী সে কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “লোকজনকে জানতে হবে
তারা যা খুশি করে বেড়াতে পারে না। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ করলে তার দাম
দিতে হবে।”