
গোপন ও ফাঁস হয়ে যাওয়া রাফাল নথি খতিয়ে দেখার কথা সুপ্রিম কোর্ট ঘোষণা
করার কয়েক মিনিটের মধ্যেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কংগ্রেস। বুধবারের রায়ের পর
তারা বলেছে এই দুর্নীতির কঙ্কাল এবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে, এবার এই চুক্তি
নিয়ে তদন্ত হবে।
দ্য হিন্দু সংবাদপত্রে এবং পরবর্তীতে সংবাদসংস্থা এএনআই-এ প্রকাশিত
রিপোর্ট নিয়ে কেন্দ্রের আপত্তি নস্যাৎ করে দিয়ে বুধবার সুপ্রিম কোর্ট
বলেছে, তারা নথি খতিয়ে দেখবে এবং রাফাল রায় নিয়ে রিভিউ পিটিশনের শুনানিও
হবে।
আমেথিতে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর সংবাদমাধ্যমের কাছে কংগ্রেস
সভাপতি রাহুল গান্ধী সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন আদালতে
ন্যায় ঘোষিত হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী মোদীর যে কোনও পছন্দের
জায়গায় গিয়ে ওঁর সঙ্গে বিতর্ক করতে প্রস্তুত আছি… এই চুক্তিতে দুর্নীতি
অত্যন্ত স্পষ্ট… উনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর টাকা অনিল আম্বানিকে দিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আজ প্রমাণ করে চৌকিদার চুরি করেছে।”
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে ভারতের জয়ের আখ্যা দিয়ে কংগ্রেস টুইট করেছে,
“আমরা সুপ্রিম কোর্টের রাফাল রায়ের রিভিউ করার রায়কে স্বাগত জানাই। সত্যমেব
জয়তে!”
নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন,
রাফালে দুর্নীতির কঙ্কাল একের পর এক কঙ্কাল বেরিয়ে পড়েছে।… মোদীজি আপনি
পালাতে পারেন, যত খুশি মিথ্যা বলতে পারেন, কিন্তু আজ হোক বা কাল সত্যি
প্রকাশিত হবেই। এবার আর কোনও সরকারি গোপনীয়তা আইনের পিছনে আপনি লুকোতে
পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, চিন্তা করবেন না মোদীজি, এবার তদন্ত হবেই, সে আপনার পছন্দ হোক বা না হোক।
কেন্দ্রের বক্তব্য ছিল এই নথি জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক এবং এই
ফোটোকপি করা এবং তা ফাঁস করা ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুসারে শাস্তিযোগ্য় অপরাধ।
গত বছর ১৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আদালতের অধীনে তদন্তের
আবেদন খারিজ করে দিয়ে বলেছিল, সরকার কাউকে অর্থনৈতিক সুবিধা প্রদান করেছে
এমন কোনও কিছু দেখা যাচ্ছে না। অরুণ শৌরী, যশোবন্ত সিনহা এবং প্রশান্ত ভূষণ
এ রায়ের রিভিউয়ের আবেদন করেন।