
এন ডি তেওয়ারির ছেলে রোহিত শঙ্কর তেওয়ারির মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর স্ত্রী
অপূর্বা শুক্লাকে গ্রেফতার করেছে ক্রাইম ব্রাঞ্চের বিশেষ তদন্ত দল।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) অপূর্বার গ্রেফতারির খবর সুনিশ্চিত
করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তারা অপূর্বা শুক্লার বিরুদ্ধে নিশ্চিত প্রমাণ
পেয়েছে।
পুলিশের এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, অপূর্বা শুক্লার গ্রেফতারির মাধ্যমে রোহিত শেখরের মৃত্যু রহস্যের সমাধান হয়ে গেল।
এ মামলার ব্যাপারে এক সাংবাদিক সম্মেলনে দিল্লি পুলিশের অতিরিক্ত
কমিশনার রাজীব রঞ্জন বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অপূর্বা এ
হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
রঞ্জন বলেছেন, ”উনি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত
নয় বলেই মনে হচ্ছে। ওঁদের বিয়ে সুখের ছিল না এবং রোহিত শেখর ও তাঁদের
পরিবার বিচ্ছেদের কথা ভাবছিলেন। বিয়ে নিয়ে অপূর্বার সমস্ত আশা ভেঙে
গিয়েছিল।”
পুলিশের কথানুযায়ী, শেখরের গৃহপরিচারিকা জানিয়েছেন, মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে অপূর্বার সঙ্গে শেখরের ভিডিও কলে ঝগড়া হয়েছিল।
সোমবার বিশেষ তদন্তদল অপূর্বা শুক্লাকে ১০ ঘণ্টা ধরে জেরা করে। এ ছাড়া
গৃহ পরিচারিকাকে এবং এক আধিকারিককে প্রশান্ত বিহারে বিশেষ তদন্ত দলের দফতরে
নিয়ে যাওয়া হয়। দুজনকে আলাদা আলাদা ঘরে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এক সিনিয়র পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, দুজনের জেরাতেই
একই তথ্য উঠে আসে। দুজনেই জানান ১৫ এপ্রিল সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ
উত্তরাখণ্ড থেকে ফেরার সময়ে অপূর্বা রোহিতকে ভিডিও কল করেন। গৃহ পরিচালিকা
সে কলের উত্তর দেন এবং তার পর রোহিতকে ফোনটি দেন। রোহিত এবং আরও কয়েকজন সে
সময়ে ওই গাড়িতে ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, শেখর, তাঁর মা, এনডি তিওয়া রির এক প্রাক্তন আধিকারিক ও
তাঁর স্ত্রী কয়েকদিন আগে উত্তরাখণ্ড গিয়েছিলেন। ১৫ এপ্রিল রাত সাড়ে দশটা
নাগাদ একসঙ্গে রাতের খাওয়া সেরে ফিরছিলেন তাঁরা। এর কয়েকঘণ্টা পরেই শেখরের
মৃত্যু হয় বলে মনে করা হচ্ছে। অপূর্বা শুক্লা বলেছেন তাঁর সঙ্গে সেদিন গভীর
রাতে রোহিতের দেখা হয়। এর পর তিনি অন্য ঘরে ঘুমোতে চলে যান।
গত সপ্তাহে
শেখরকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিক ভাবে তাঁর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে
বলে মনে করা হলেও এইমসের চিকিৎসকরা এ ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেন। এর
পরেই হত্যা মামলা রুজু করা হয়।