
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্বাচনী প্রচারে তিন
দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ফুরোলে
শুক্রবার প্রচারে যোগ দেন তিনি। সেদিনই যোগীর মন্তব্য ঘিরে তৈরি হল বিতর্ক।
সমাজবাদী পার্টির এক প্রার্থীকে ‘বাবরের উত্তরসূরি’ বলে আক্রমণ করেন যোগী
আদিত্যনাথ।
সম্ভল জেলার এক জনসভায় যোগী বলেন, “একবার আমি সংসদে এক সদস্যকে তাঁর দেশ
সম্পর্কে জিজ্ঞেস করায় তিনি বলেছিলেন, ‘আমি বাবরের উত্তরসূরি'”। প্রসঙ্গত
সংসদের সেই ব্যক্তিই সম্ভল জেলার সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী। উপস্থিত জনতার
উদ্দেশে যোগী বলেন, “আপনারা কি এমন একজনের হাতে দেশকে তুলে দিতে চান, যারা
উন্নয়নের বিরুদ্ধে, যারা তরুণ প্রজন্মের বিরুদ্ধে, যারা বিশ্বাসঘাতক, যারা
সন্ত্রাসবাদী এবং যারা বজরঙ্গ বলীর অনুরাগীদের বিরোধী।
“একদিকে
ভারতের আস্থাকে সম্মান জানানোর মানুষ মোদী আছেন, আবার অন্যদিকে নিজেকে
বাবরের সন্তান হিসেবে পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিও আছেন। আপনারা কি দেশদ্রোহীর
হাতে ভারতকে তুলে দিতে চান? জনতাকে লক্ষ করে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন যোগী।
মিরাটের জনসভায় যোগী আদিত্যনাথের ‘আলি ও বজরং বলী’ মন্তব্যকে উত্তেজক
বলে মনে করেছে কমিশন। তারা বলেছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আদিত্যনাথের
উপর অতিরিক্ত দায়িত্ব রয়েছে। কিন্তু তিনিই জনসমক্ষে ধর্মনিরপেক্ষতা বিরোধী
ভাষণ দিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের শো কজের উত্তর দিতে গিয়ে আদিত্যনাথ বলেছেন, দেওবন্দে
মায়াবতী মুসলিম ভোটারদের কাছে যে বক্তব্য রেখেছেন, তার উত্তর দিতে গিয়ে
‘আলি ও বজরংবলী’ মন্তব্য করেছেন তিনি। উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর ও বেরিলি
জেলার মুসলিম ভোটারদের গত ৭ এপ্রিল মায়াবতী ভোট ভাগ না করার আহ্বান জানান।
এখানে ভোট হয়েছে ১১ এপ্রিল।