
নির্বাচনের দিন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ গোটা দেশের সঙ্গে চালু হয়েছে আমাদের রাজ্যেও। নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার ঘটনা দেখলেই এই অ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগ জানানো যাবে।
কী এই সি-ভিজিল অ্যাপ?
নির্বাচন কমিশনের কাছে সরাসরি অভিযোগ জানানোর জন্য চালু হয়েছে সি-ভিজিল অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে কী সুবিধা পাবেন দেশের নাগরিকরা দেখে নেওয়া যাক এই মোবাইল অ্যাপ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি তথ্য।
- নির্বাচনের দিন ঘোষণা এবং তার সঙ্গে শুরু হয়ে যাওয়া আচরণবিধি বা মডেল কোড অব কন্ডাক্ট লাগু হওয়ার পর দেশের নাগরিকরা এই স্মাটফোন অ্যাপের মাধ্যমে নিয়ম-বহির্ভুত কাজের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন।
- এই অ্যাপে অভিযোগ জানানোর জন্য থানা বা প্রশাসনের কাছে সশরীরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
- অভিযোগ জানানোর জন্য প্রয়োজন অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট ফোন। যার ভার্সন হতে হবে জেলিবিন বা তার পরবর্তী সংস্করণ।
- ফোনটিতে থাকতে হবে ক্যামেরা, ইন্টারনেট সংযোগ এবং জিপিএস।
- ছবি/ভিডিও এবং লাইভ ছবি/ভিডিও – সব কিছুই এই অ্যাপে আপলোড করা যাবে।
- ছবি অথবা ২ মিনিট সময়সীমা ভিডিও আপলোড করার সঙ্গে সঙ্গে তা পৌঁছে যাবে সংশ্লিষ্ট জেলার কন্ট্রোল রুমে।
- জিওগ্রাফিক্ ইনফরমেশন সিস্টেমের মাধ্যামে স্বয়ংক্রিয় ভাবে স্থান চিহ্নিত হয়ে যাবে।
- সফল সাবমিটের পর অভিযোগকারী একটি ইউনিক আইডি পাবেন। যা দিয়ে অভিযোগের ব্যবস্থা পরবর্তী সময়ে দেখে নেওয়া যাবে।
- অভিযোগ সত্য হলে ১০০ মিনিটের মধ্যেই কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। এবং অভিযোগকারীকে অবহিত করবে।
- অ্যাপের অপব্যবহার রুখতে ব্যবস্থা রয়েছে। কোনো অভিযোগকারী এক বার অভিযোগ জানানোর পর পাঁচ মিনিট পর্যন্ত দ্বিতীয় অভিযোগ জানাতে পারবেন না।
- শুধুমাত্র আচরণবিধি সংক্রান্ত অভিযোগই এই অ্যাপের মাধ্যমে জানানো যায়। অভিযোগ পাঠিয়ে দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট থানা এবং জেলা প্রশাসনের কাছে। সি-ভিজিল ইনভেস্টিগেটর ডিম যথাযথ ব্যবস্থা নেয়।
এই অ্যাপে অভিযোগ জানালে অভিযোগকারীর নাম, মোবাইল নম্বর-সহ কোনো রকমের তথ্যই কমিশনের তরফে সংগ্রহ করা হয় না।
গুগল প্লে স্টোর থেকে এই অ্যাপ যে কেউ নিজের অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ডাউনলোড করতে পারেন। এটি মূলত মডেল কোড অফ কনডাক্ট বা নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। কেউ আচরণবিধি না মানলে সে বিষয়ে অভিযোগ জানাতে পারবেন যে কেউ। অনেক সময় কোনও রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে টাকা দেওয়া হচ্ছে। যে কেউ এই ঘটনার ছবি তুলে বা ভিডিও তুলে লোকেশন ট্যাগ করে সেটা এই অ্যাপের মাধ্যমে আপলোড করে দিতে পারবেন। সরাসরি সেটা কমিশনের কাছে পৌঁছে যাবে। ১০০ মিনিটের মধ্যে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেবে কমিশন। কী ব্যবস্থা নেওয়া হল সেটা যিনি আপলোড করেছেন তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হবে।' এক্ষেত্রে গোপন রাখা হবে অভিযোগকারী ব্যক্তির নাম, এই অ্যাপ ডাউনলোড করা যাবে গুগল প্লে স্টোর থেকে।