
দীর্ঘ দিনের আর্থিক সংকট কাটিয়ে উঠতে না পেরে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়ল জেট
এয়ারওয়েজ। অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল পরিষেবা। শোনা যাচ্ছে জেটের
একাংশ শেয়ার রয়েছে মুকেশ আম্বানির মালিকানাধীন সংস্থা রিলায়েন্স
ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেড। ঋণে জর্জরিত এয়ার ইন্ডিয়াকেও বাঁচাতে পারে ওই একই
সংস্থা। মুকেশ আম্বানির ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফত খবর।
শেষ অর্থবর্ষে জেট এবং এয়ার ইন্ডিয়া দুই বিমান সংস্থাই ক্ষতির মুখ
দেখেছে। ২৫ বছর পরিষেবা দেওয়ার পর শেষ পর্যন্ত পথ চলা বন্ধ হল জেটের।
জেট
সমস্যার সমাধানে যে সমস্ত সংস্থা এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) জমা
দিয়েছে, তার মধ্যে নেই মুকেশ আম্বানির সংস্থা। সূত্রের খবর বলছে সংযুক্ত
আরব আমীর শাহির ইতিহাদ এয়ারওয়েজের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে জেট।
সরাসরি
বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)-এর নিয়ম অনুযায়ী জেটে তাদের বিনিয়োগ ২৪ শতাংশ থেকে
বাড়িয়ে ৪৯ শতাংশ করতেই পারে ইতিহাদ। তার বেশি বিনিয়োগ করতে চাইলে সরকারি
অনুমোদন প্রয়োজন।
রিলায়েন্স ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেডের মুখপাত্র জানালেন, “গুজব কিমবা
সম্ভাবনা নিয়ে মন্তব্য না করাটাই আমাদের নীতি। নানা দিক ভেবে আমরা
সিদ্ধান্ত নিই”।
অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এয়ার ইন্ডিয়ার সরকারি শেয়ার বিক্রি করার
সিদ্ধান্ত নিয়েও পরে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। পরে ৪৮,৭৮১ কোটির দেনা থেকে
বাঁচতে এয়ার ইন্ডিয়ার সরকারি ভর্তুকি এবং সরকারের সম্পত্তি বিক্রির
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে জেট এয়ারওয়েজের ১৫০ জন কেবিন
ক্র্যু সদস্যকে আন্তর্জাতিক পরিষেবার জন্য নিজেদের সংস্থায় বোয়িং ৭৭৭ এবং
বোয়িং ৭৮৭ বিমানে নিয়োগ করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। ১৯ টি আন্তর্জাতিক রুটে ২৮
এপ্রিল পর্যন্ত যে সমস্ত যাত্রীর টিকিট বুক করা ছিল, তাঁদের প্রত্যেকের
জন্য নতুন টিকিটের ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করেছে এয়ার ইন্ডিয়া।