
চূড়ান্ত আর্থিক সংকটে ভুগছিল বিগত বেশ কয়েক মাস যাবত। অবশেষে অনির্দিষ্ট
কালের জন্য পরিষেবা বন্ধ করে দিল জেট এয়ারওয়েজ। একই দিনে সরকারি
বিমানসংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ককে জানিয়েছে পরিষেবা বন্ধ
থাকা ৫টি বোয়িং ৭৭৭ বিমান জেটের থেকে লিজ নিয়ে লন্ডন, সিঙ্গাপোর এবং
দুবাইয়ের মত গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে।
ইতিমধ্যে জেট এয়ারওয়েজের ১৫০ জন কেবিন ক্র্যু সদস্যকে আন্তর্জাতিক
পরিষেবার জন্য নিজেদের সংস্থায় বোয়িং ৭৭৭ এবং বোয়িং ৭৮৭ বিমানে নিয়োগ
করেছে এয়ার ইন্ডিয়া। ১৯ টি আন্তর্জাতিক রুটে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত যে সমস্ত
যাত্রীর টিকিট বুক করা ছিল, তাঁদের প্রত্যেকের জন্য নতুন টিকিটের ক্ষেত্রে
বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করেছে এয়ার ইন্ডিয়া।
বর্তমানে জেট এয়ারওয়েজ স্টেট ব্যাঙ্কের নেতৃত্বে একটি কনসর্টিয়ামের
পরিচালন গোষ্ঠীর আওতায় রয়েছে। ব্যাঙ্কারদের কাছে জেট আপতকালীন ৯৮৩ কোটি
টাকা অনুদানের জন্য যে অনুরোধ করেছিল জেট, তা খারিজ হয়ে যায়।
এসবিআই
চেয়ারম্যান রজনিশ কুমারকে লেখা এক চিঠিতে এয়ার ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান এবং
ম্যানেজিং ডিরেক্টর ওশ্বানি লোহানি জানিয়েছেন, ” জেট এয়ারওয়েজের পরিস্থিতি
খুবই দুঃখজনক। রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা হিসেবে নিজেরদের আন্তর্জাতিক পরিষেবা
বাড়িয়ে জেটের আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা যথাসম্ভব স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা
করছি আমরা”।
বুধবার রাত থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য পরিষেবা বন্ধ করে দিল জেট।
দীর্ঘদিন ধরেই মন্দা চলছিল জেট এয়ারওয়েজে। মাথার উপর আট হাজার কোটি টাকা
ঋণের বোঝা। যে কারণে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের (আইওসি) বকেয়া টাকা দিতে
পারছিল না এই বিমান সংস্থা। এই প্রেক্ষিতেই বিমান সংস্থাকে জ্বালানী
সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে আইওসি। দিন দিন অবস্থার অবনতি হতে হতে শেষে গত
বুধবার অনির্দিষ্ট কালের জন্য পরিষেবা বন্ধ করে দিল সংস্থা। বিমানচালকদের
সংগঠন ন্যাশনাল অ্যাভিয়েটরস গিল্ড সংস্থার ২০০০০ কর্মীর চাকরি বাঁচানোর
আবেদন জানিয়ে চিঠি লিখেছে প্রধানমন্ত্রীকে।