
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর নরেন্দ্র
মোদীর রাজ্যে প্রথমবার সভা করলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। মঙ্গলবারের সভার
প্রিয়াঙ্কা প্রশ্ন করেন, প্রত্যেক নাগরিকের ব্যাঙ্কে ১৫ লক্ষ টাকার
প্রতিশ্রুতির কী হল! কী হল নারী নিরাপত্তা নিয়ে দেওয়া প্রতিশ্রুতির!
গান্ধীনগরে এক জনসভায় একপাশে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, অন্যদিকে
ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীকে নিয়ে এদিনের সভায় প্রিয়াঙ্কা বলেন, এই
ভোটে তুচ্ছ প্রসঙ্গের অবতারণা না করে ঠিকঠাক প্রশ্ন তুলতে হবে।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, “২০১৪ সালে যারা বড়বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তাদের
প্রশ্ন করুন আপনাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা কোথায় গেল! জিজ্ঞাসা
করুন নারী নিরাপত্তা নিয়ে তারা যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেসব কোথায় গেল?
কোথায় গেল চাকরি!”
২০১৪ সালে লোক সভা ভোটের প্রচারের সময়ে মোদী
প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি সমস্ত কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে আনবেন এবং তা
থেকে সমস্ত নাগরিকদের ব্যাঙ্কে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। সে প্রতিশ্রুতি এখন
ব্যুমেরাং হয়ে বিরোধীদের পালে হাওয়া জুগিয়েছে।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, এবারের
নির্বাচনে যে মূল ইস্যুগুলিতে লড়াই হবে, তা হল নারী নিরাপত্তা, বেরোজগারি
এবং কৃষি সংকট। তিনি বলেন, ”সেই সব ইস্যুগুলিকেই তুলে ধরতে হবে যেগুলি
আপনাদের সকলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং দেখতে হবে কেমন করে আপনারা এগিয়ে যেতে
পারেন। কেমন করে যুবক-যুবতীরা চাকরি পেতে পারে, কেমন করে নারীরা নিরাপদ
বোধ করতে পারেন, কৃষকদের জন্য কী করা যেতে পারে, এগুলিই নির্বাচনের ইস্যু।”
গত ২৩ জানুয়ারি কংগ্রেসের পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব নেন প্রিয়াঙ্কা
গান্ধী। তার পর থেকে তিনি একের পর এক পার্টি সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করলেও এ
দিনের আগে অবধি জনসভায় বক্তব্য রাখেননি। এর আগে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি
রাহুল গান্ধীর সঙ্গে এক রোড শো-য়ে অংশগ্রহণ করেন।
“এ দেশ গড়ে ওঠার ভিত্তি হল ভালবাসা, সমন্বয় এবং সৌভ্রাতৃত্ব। আজ দেশে
যা ঘটছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। আপনাদের ভাবতে গবে, এবারে ভোটে আপনারা কী
নির্বাচন করছেন? আপনারা নির্বাচন করছেন আপনাদের ভবিষ্যৎ। অপ্রয়োজনীয় ইস্যু
তুলে ধরা উচিত নয়।“ প্রিয়াঙ্কা যখন এসব বলছিলেন, তখন করতালির ঝড় উঠছিল
উপস্থিত জনতার মধ্যে।