
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে লালকেল্লা সংলগ্ন লাজপত রায় মার্কেট থেকে
জৈশ-ই-মহম্মদ (জেইএম) জঙ্গি সজ্জদ আহমেদ খানকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি
পুলিশের স্পেশ্যাল সেল, সেরকমটাই দাবি করেছিল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিং
এজেন্সি (এনআইএ)। সেই দাবিকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে সজ্জদের পরিবার।
তাঁদের দাবি মাস খানেক আগেই সজ্জদকে আটক করা হয়েছে।
জঙ্গি সজ্জদ আহমেদ খান পুলওয়ামা হামলার মূলচক্রী মুদাসির আহমেদ খানের
ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং জৈশ-ই-মহম্মদ (জেইএম) জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। সজ্জদের বাবা
গুলাম নবি খান বলছেন, তাঁর ছেলেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করে দিল্লি
পুলিশ। পরিবারকে জানানো হয়েছিল, দিন কয়েকের মধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তিনি জানিয়েছেন, “১৬ ফেব্রুয়ারি দিল্লি গেটের কাছ
থেকে সজ্জদকে আটক করা হয়েছিল”।
তাঁর বাকি দুই সন্তান যে সন্ত্রাসবাদী
গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তা নিজেই স্বীকার করেছেন সজ্জদের বাবা।
নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় তারা। “কিন্তু তাই বলে আমার তৃতীয়
সন্তানকেও ওরা গ্রেফতার করে নেবে? আহমেদ নির্দোষ”।
এই প্রসঙ্গে কোনও
মন্তব্য করেনি দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। ১৯ ফেব্রুয়ারির ইন্ডিয়ান
এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৬ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামা হামলা নিয়ে
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতজনকে আটক করা হয়েছিল। তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত
তথ্য জানার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁদের। এদের মধ্যে সজ্জদ খান ছিলেন বলে
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছে এনআইএ।
এনআইএ তদন্তে UAPA আইনের আওতায় ১২০ (বি) এবং ১২১ (এ) ধারায় নথিভুক্ত
রয়েছে সজ্জদ খানের নাম। দিল্লিতে তাঁর ছেলে শালের ব্যবসা করতেন বলে
জানিয়েছেন গুলাম নবি খান।
জৈশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠীর সঙ্গে সজ্জদের যোগ
থাকার কথা অস্বীকার করেছেন সজ্জদের বাবা। ছেলের সঙ্গে দেখা করতে লোদি
গার্ডেনের দিল্লি স্পেশাল পুলিশ সেলেও গিয়েছেন তিনি। ৫৪ বছরের গুলাম নবি
জানালেন, “ওরা গ্রেফতারের কথা স্বীকার করেছিল, কিন্তু আমার ছেলের সঙ্গে
আমায় দেখা করতে দেয়নি। আমি ২৫ দিন দিল্লিতে ছিলাম, ওরা রোজ বলত, পরের দিন
দেখা করতে দেবে। আমি যখন বলি ছেলেকে কিছু পোশাক আর টাকা দিতে এসেছি, আমার
কাছ থেকে সেগুলো নিয়ে নেওয়া হয়”।
কাশ্মীরের কিছু গ্রাম থেকে আরও ৪-৫ জন ছেলেকে প্রথমে গ্রেফতার করা হলেও
পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আমার ছেলেকে ছাড়াই হয়নি”, বললেন সজ্জদের
বাবা।