
বৃহস্পতিবার জম্মু বাস স্ট্যান্ডে ভয়াবহ গ্রেনেড বিস্ফোরণের
মূল অভিযুক্তের কাল, অর্থাৎ রবিবার, এই পৃথিবীতে ১৩ বছর পূর্ণ হবে। ক্লাস
নাইনে পড়ে সে, অন্তত এমনটাই বলছে তার স্কুল সার্টিফিকেট। উল্লেখ্য, গ্রেনেড
বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যু হয়েছে, জখম ৩০ জনের বেশি। বিস্ফোরণের
কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বৃহস্পতিবার পুলিশ জানায়, দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম
থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাকে এই হামলার দায়িত্ব দিয়েছিল হিজবুল
মুজাহিদিনের কুলগাম জেলা ‘কম্যান্ডার’।
শুক্রবার ধৃতের স্কুল রেকর্ড থেকে জানা যায়, তার জন্মতারিখ হলো ১০
মার্চ, ২০০৬। স্কুলের প্রিন্সিপালের স্বাক্ষর করা একটি সার্টিফিকেটে বলা
হয়েছে, “এতদ্বারা জানানো হচ্ছে যে… (ছাত্রের নাম) নবম শ্রেণির ছাত্র।
স্কুলের নথি অনুযায়ী তার জন্মতারিখ ১০-৩-২০০৬।” ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে
সেই সার্টিফিকেটের প্রতিলিপি রয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তের বয়স সংক্রান্ত বিশদ
তথ্য জানতে চেয়েছে স্কুলের কাছ থেকে।
বৃহস্পতিবার জম্মুতে এক
সাংবাদিক সম্মেলনে জম্মুর আইজিপি এম কে সিনহা সমেত একাধিক উচ্চপদস্থ পুলিশ
আধিকারিক মিডিয়ার সামনে অভিযুক্তকে হাজির করে তার সম্পর্কে বিশদ তথ্য
জানিয়ে দেন। যেখানে অভিযুক্ত সম্ভবত নাবালক, সেখানে এমন কেন করা হলো জানতে
চাইলে পুলিশ বলে তারা ধৃতের “বয়স সম্বন্ধে কিছু জানে না”। শুক্রবার
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে সিনহা বলেন, “আমরা ওর বয়স জানতাম না, এখনও জানি না।”
জম্মু কাশ্মীরের রাজ্যপালের উপদেষ্টা (স্বরাষ্ট্র দফতর) কে বিজয় কুমার
রাজধানী শ্রীনগরে সাংবাদিকদের বলেন যে অভিযুক্ত এক “সাধারণ তরুণ” যাকে একজন
“ভাড়াটে সৈনিক” বানিয়ে তোলা হয়েছে। “কিছু শক্তি ওকে চালিত করেছে। ও খুবই
সাধারণ একজন ছেলে, ওকে ভাড়াটে সৈনিক বানিয়ে তোলা হয়েছে,” বলেন কুমার।
অভিযুক্তের
পরিবার জানিয়েছেন, সে মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ি থেকে বেরোয় মামাবাড়ি যাবে বলে।
তার মায়ের কথায়, “মামার কাছেই সে রাতটা থেকে পরদিন (বুধবার) বেরিয়ে পড়ে,
বলে যে বাড়ি যাচ্ছে। কিন্তু বাড়ি ফেরেনি। আমরা জানতেই পারিনি যে ও আসলে
জম্মু পৌঁছে গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে আমাদের ফোন করে জম্মুতে আমাদের এক
আত্মীয়ের নম্বর চায়…তার কয়েক ঘন্টা পরেই শুনি ও গ্রেফতার হয়েছে।”
আরেক আত্মীয় জানান, “আমরা গভর্নর সাহেবকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে অনুরোধ
করছি। ও একেবারেই নির্দোষ। চাইলে যে কেউ ওর সম্বন্ধে খোঁজখবর নিয়ে দেখুন।
কোনোদিন কোনোরকম গোলমালে জড়ায়নি ও।”