
লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে জোর ধাক্কা খেলেন পতিদার নেতা হার্দিক
প্যাটেল। ২০১৫ সালের মেহসেনা দাঙ্গার মামলায় স্থগিতাদেশ চেয়ে হার্দিকের
আবেদন শুক্রবার খারিজ করল গুজরাট হাইকোর্ট। ফলে, ১৯৫১ সালের জন
প্রতিনিধিত্ব আইন অনুসারে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করতে পারছেন না
হার্দিক প্যাটেল।
প্রসঙ্গত, ১২ মার্চ কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন পতিদার আন্দোলনের এই নেতা।
তিনি যে নির্বাচনে জামনগর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক সে কথা আগেই
জানিয়েছিলেন হার্দিক। গুজরাটে নির্বাচন হবে এক দফাতেই। আগামী ৪ এপ্রিল
পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। ফলে, হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তকে
চ্যালেঞ্জ করার জন্য বেশ কিছুটা সময় রয়েছে হার্দিকের হাতে।
এদিন বিচারপতি উরাইজি তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, এই কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে
১৭টি এফআইআর-সহ বেশ কয়েকটি ফৌজদারি মামলা ঝুলছে। হার্দিকের বিরুদ্ধে যেসব
মামলা ঝুলে রয়েছে, সেগুলিরও হিসাব দিয়েছেন বিচারপতি। আর এরপরই তিনি
হার্দিকের আবেদন খারিজ করে দেন।
গুজরাট হাইকোর্টের এদিনের রায়কে স্বাগত
জানিয়েছেন হার্দিক প্যাটেল। তবে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা রয়েছে,
সেগুলি নিয়ে টুইটারে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। হার্দিক লিখেছেন, “আমরা কোনও
কিছুতেই ভয় পাই না। আমরা সততার সঙ্গে ও অহিংসভাবে প্রতিবাদ করে যাব।
কংগ্রেসই সরকার গড়বে। আমি দলের হয়ে প্রচার করব। আমার একটাই অপরাধ, আমি
বিজেপির সামনে মাথা নত করিনি”।