
ভোটের বাজারে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাঁধল ভাটপাড়ায়। বিজেপি মহিলা কর্মীর
শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনা ঘিরে
তুমুল উত্তেজনা ছড়াল ভাটপাড়া এলাকায়। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার
রাতে জগদ্দল থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন
সিংয়ের। থানার সামনের রাস্তায় শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান অর্জুন সিং। সোমবার
সকালে জগদ্দল স্টেশনে রেল অবরোধে শামিল হন অর্জুন সিং অনুগামীরা। আধঘণ্টা
বাদে উঠে যায় রেল অবরোধ। এ ঘটনায় শিয়ালদহ মেন লাইনে বিঘ্নিত হয় ট্রেন
চলাচল। সপ্তাহের শুরুতে রেল অবরোধে চরম ভোগান্তির শিকার হন নিত্যযাত্রীরা।
ঠিক
কী অভিযোগ? দেওয়াল লিখন ঘিরে গোলমাল বাঁধে বলে খবর। সেসময়ই বিজেপির এক
মহিলা কর্মীকে হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ প্রসঙ্গে বারাকপুরের
বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং বলেন, ‘‘ওই মহিলা কর্মীর বাড়িতে ঢুকে হামলা
চালিয়েছে তৃণমূল কাউন্সিলর মনোজ গুহের ভাই-সহ ৪ জন। ওঁর স্বামীকে মারধর
করেছে। ওঁর হাত ধরে টেনে অন্য ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। ওঁর পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া
হয়। কয়েকদিন আগে থেকেই ওই মহিলাকে উত্ত্যক্ত করা হচ্ছিল।’’ এরপরই মমতাকে
নিশানা করে অর্জুন বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী নিজে একজন মহিলা, তাঁর শাসনকালে
একজন মহিলাকে এভাবে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে।গণতন্ত্র কোথায়?’’
পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে অর্জুন আরও বলেন, ‘‘৪০টি মামলা করেছি। কাউকে ধরছে না। মিথ্যা মামলায় আমাদের ছেলেদের ধরছে।’’
অন্যদিকে,এ
ঘটনায় বিজেপিকে পাল্টা বিঁধেছেন তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর দাবি,
‘‘কাউন্সিলরের বাড়িতে গিয়ে চড়-থাপ্পর মেরেছে ওরা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি
দেওয়া হচ্ছে। ওদের বিরুদ্ধে জগদ্দল থানায় আমরা এফআইআর দায়ের করছি।’’
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন ভাটপাড়ার
দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অর্জুন সিং। লোকসভার লড়াইয়ে অর্জুনকে ব্যারাকপুরে দলের
প্রার্থী করে নয়া চাল চেলেছে বিজেপি। ব্যারাকপুরে এবার প্রার্থী হওয়ার
জন্য মুখিয়ে ছিলেন অর্জুন। কিন্তু শেষমেশ দীনেশ ত্রিবেদীকেই প্রার্থী করার
সিদ্ধান্ত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রীর এহেন সিদ্ধান্তে একেবারেই
খুশি ছিলেন না অর্জুন। এরপরই তৃণমূল ছেড়ে পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নেন অর্জুন।