
প্রয়াত মনোহর পরিক্করের শেষকৃত্যের দিন গোয়ার কলাভবনে শুদ্ধিকরণ
প্রক্রিয়া নিয়ে যে বিতর্ক দানা বেঁধেছে, তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিলেন
রাজ্যের সংস্কৃতি মন্ত্রী গোবিন্দ গৌড়ে।
শনিবার টুইট করে মন্ত্রী গৌড়ে বলেন, “বেশ কিছু সমাজকর্মী মারফত আমার
কাছে খবর এসেছে, কলা অ্যাকাডেমি চত্বরে শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা
হয়েছে। সে বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি আমি। সরকারি ভবনে কোনোরকম
অবৈজ্ঞানিক কার্যকলাপকে প্রশ্রয় দিতে পারি না আমরা”।
মন্ত্রী বলেন, “কলা ভবনে এ ধরণের
লোকাচারের অনুমতি দেওয়া হয় না। অ্যাকাডেমি অথবা সংস্কৃতি মন্ত্রকের পক্ষ
থেকে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য একটা পয়সাও দেওয়া হয়নি। ‘শুদ্ধিকরণ’
শব্দটা আমি শুনতে পাচ্ছি। কিন্তু এই নিয়ে মন্তব্য করব না। সবচেয়ে আগে
বিষয়টি নিয়ে তদন্তের প্রয়োজন।প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে তিনজন কর্মী চেয়েছিলেন শেষকৃত্য চলাকালীন মন্ত্রোচ্চারণ হোক, মন্ত্রী গোবিন্দ গৌড়ে নিজেই জানিয়েছেন।
কলা
অ্যাকাডেমির সদস্য সচিব গুরুদাস পিলেরনেকর শেষকৃত্যে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
কিন্তু এই আচার সম্পর্কে তিনি বিস্তারিত জানতেন না। তিনি জানিয়েছেন, “এই
সমস্ত কর্মীরা কলা অ্যাকাডেমির ব্রাহ্মণ কর্মী। সকালে কলা অ্যাকাডেমির
চত্বরে এসে আমি এদের এক ধরণের আচার পালন করতে দেখি। ওঁ মন্ত্র ছাড়া আর কিছু
উচ্চারণ না করে আমাকেও অংশ নিতে বলা হয়। আমি প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে একটু
ব্যাখ্যা চাই”।
রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় কলা অ্যাকাডেমি চত্বরে শেষকৃত্য সম্পন্ন
হয় মনোহর পরিক্করের। বিতর্কের জন্ম দেওয়া শুদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে স্থানীয়
বাসিন্দারাই প্রথম টুইট করেন। ক্রমশ সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে তা।