
Tripura Congress Wednesday lodged an FIR over alleged corruption in
jewels and other valuables donated by devotees to Mata Tripurasundari
Temple.
Udaipur District Congress president Soumitra Biswas said the details
of the jewels and valuables, announced during an evaluation process held
in July, 2018, was unbelievable and required stringent investigation.
“As per evaluation report, 13 kg gold jewels were found in 7 vaults
maintained in the temple. It is suspicious and not believable. Many of
these vaults had bicycle tyres, tubes, rugs, outdated food coupons in
them. We have filed the complaint to find out true details of jewels and
valuables which were donated by devotees including Tripura’s Manikya
monarchs who oversaw the royal temples before Merger Agreement with the
Union of India in 1949,” Biswas told media.
In January this year, Tripura Congress had alleged corruption and
submitted a memorandum to Gomati District Magistrate Tarun Kanti Debnath
demanding a high-level inquiry to find out the quantum of jewels and
valuables that were donated by devotees, including Tripura’s Manikya
monarchs, who oversaw the royal temples before the Merger Agreement with
the Union of India in 1949.
Soon after taking charge on March 9 last year, Tripura Chief Minister
Biplab Kumar Deb formed a Trust for Mata Tripurasundari Temple, which
would oversee all activities in it. The objective was to develop the
temple on the lines of the Vaishnodevi Temple and attract tourists.
An exercise to evaluate all jewels and valuables in possession of the
temple was undertaken in July. During the asset testing and evaluation
exercise, the Trust recorded 12.95 Kg gold and 65.176 Kg silver, a pearl
necklace weighing 29 gm and 1 US dollar among assets in possession of
Mata Tripurasundari Temple.
Tripurasundari Temple is one of the 51 Hindu Shaktipeethas of the
country and considered one of the holiest Hindu shrines. Maharaja
Dhanyamanikya installed the idol of Tripurasundari in 1501 AD on a
hillock, 55 Km from Agartala. It is close to Udaipur, which was then
called Rangamati and was erstwhile capital of the princely state.
বিরাট চুরি! এতটাই, যে এবার রাজনৈতিক সমস্যা খাড়া হয়ে গেল ত্রিপুরায়। বুধবার রাজ্যের বিখ্যাত মাতা ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরে বিপুল হারে গয়না এবং ভক্তদের দান করা অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী চুরির অভিযোগ তুলে গোমতী জেলার রাধাকিশোরপুর থানায় পুলিশি তদন্তের দাবীতে এফআইআর দায়ের করল ত্রিপুরা কংগ্রেস।
উদয়পুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি সৌমিত্র বিশ্বাস ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, জুলাই ২০১৮-য় একটি মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হয়, কিন্তু মন্দিরে রক্ষিত গয়নাগাটি এবং অন্যান্য দামী জিনিসের যা বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়, তা এক কথায় অবিশ্বাস্য।
“ভ্যালুয়েশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, মন্দিরের সাতটি ভল্টে মোট ১৩ কেজি সোনার গয়না পাওয়া যায়। একথা একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য নয়, অত্যন্ত সন্দেহজনক। অনেকগুলো ভল্টে সাইকেলের টায়ার, টিউব, মাদুর, অথবা তারিখ পেরিয়ে যাওয়া খাওয়ার কুপনের মত আজেবাজে জিনিস ছিল। আমরা অভিযোগ করেছি কারণ আমরা সত্যিটা জানতে চাই, যে আসলে ঠিক কতটা গয়নাগাটি এবং অন্যান্য দামী সামগ্রী দান করেছেন ভক্তরা। এঁদের মধ্যে মানিক্য রাজবংশের রাজাদের দেওয়া জিনিসও রয়েছে, ১৯৪৯ সালে ভারতের সঙ্গে ত্রিপুরার যুক্ত হওয়ার চুক্তি সইয়ের আগে,” বলেন সৌমিত্রবাবু। তাঁর মতে, বিগ্রহের অলঙ্কার নিয়ে দুর্নীতি “অনেক ওপর মহল” থেকে সংঘটিত হয়েছে, কাজেই উচ্চপর্যায়ের তদন্তও হওয়া উচিত।
এবছরের জানুয়ারি মাসে গোমতী জেলার জেলাশাসক তরুণকান্তি দেবনাথের কাছে কংগ্রেস পার্টি একটি স্মারকলিপি পেশ করে এই ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দাবী করে।
গত বছরের ৯ মার্চ রাজ্যের শাসনভার গ্রহণ করার পরেই মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব নিজের নেতৃত্বে মা ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরের সমস্ত কাজকর্ম দেখাশোনার জন্য একটি ট্রাস্ট গঠন করেন। উদ্দেশ্য ছিল, বৈষ্ণদেবী মন্দিরের আদলে ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরেও পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা।
জুলাই মাসে মন্দিরের সমস্ত ধনসম্পত্তির মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হয়, যা চলাকালীন ট্রাস্টের মাধ্যমে প্রকাশ পায় যে মন্দিরের সম্পদ বলতে রয়েছে ১২.৯৫ কেজি সোনা, ৬৫.১৭৬ কেজি রূপো, ২৯ গ্রাম ওজনের একটি মুক্তাহার, এবং একটি মার্কিন ডলার।
ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দির হিন্দুশাস্ত্রে বর্ণিত ৫১ শক্তিপীঠের একটি, তথা অসংখ্য ভক্তের কাছে দেশের অন্যতম পবিত্র স্থানগুলির একটিও বটে। আগরতলা থেকে ৫৫ কিমি দূরে একটি টিলার উপরে ১৫০১ সালে ত্রিপুরাসুন্দরীর বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন মহারাজা ধন্যমানিক্য। কাছেই উদয়পুর, যার তখনকার নাম ছিল রাঙ্গামাটি। তৎকালীন ত্রিপুরার রাজাদের রাজধানী ছিল এই রাঙ্গামাটি।
বিরাট চুরি! এতটাই, যে এবার রাজনৈতিক সমস্যা খাড়া হয়ে গেল ত্রিপুরায়। বুধবার রাজ্যের বিখ্যাত মাতা ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরে বিপুল হারে গয়না এবং ভক্তদের দান করা অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী চুরির অভিযোগ তুলে গোমতী জেলার রাধাকিশোরপুর থানায় পুলিশি তদন্তের দাবীতে এফআইআর দায়ের করল ত্রিপুরা কংগ্রেস।
উদয়পুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি সৌমিত্র বিশ্বাস ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, জুলাই ২০১৮-য় একটি মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হয়, কিন্তু মন্দিরে রক্ষিত গয়নাগাটি এবং অন্যান্য দামী জিনিসের যা বিশদ বিবরণ দেওয়া হয়, তা এক কথায় অবিশ্বাস্য।
“ভ্যালুয়েশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, মন্দিরের সাতটি ভল্টে মোট ১৩ কেজি সোনার গয়না পাওয়া যায়। একথা একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য নয়, অত্যন্ত সন্দেহজনক। অনেকগুলো ভল্টে সাইকেলের টায়ার, টিউব, মাদুর, অথবা তারিখ পেরিয়ে যাওয়া খাওয়ার কুপনের মত আজেবাজে জিনিস ছিল। আমরা অভিযোগ করেছি কারণ আমরা সত্যিটা জানতে চাই, যে আসলে ঠিক কতটা গয়নাগাটি এবং অন্যান্য দামী সামগ্রী দান করেছেন ভক্তরা। এঁদের মধ্যে মানিক্য রাজবংশের রাজাদের দেওয়া জিনিসও রয়েছে, ১৯৪৯ সালে ভারতের সঙ্গে ত্রিপুরার যুক্ত হওয়ার চুক্তি সইয়ের আগে,” বলেন সৌমিত্রবাবু। তাঁর মতে, বিগ্রহের অলঙ্কার নিয়ে দুর্নীতি “অনেক ওপর মহল” থেকে সংঘটিত হয়েছে, কাজেই উচ্চপর্যায়ের তদন্তও হওয়া উচিত।
এবছরের জানুয়ারি মাসে গোমতী জেলার জেলাশাসক তরুণকান্তি দেবনাথের কাছে কংগ্রেস পার্টি একটি স্মারকলিপি পেশ করে এই ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দাবী করে।
গত বছরের ৯ মার্চ রাজ্যের শাসনভার গ্রহণ করার পরেই মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব নিজের নেতৃত্বে মা ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরের সমস্ত কাজকর্ম দেখাশোনার জন্য একটি ট্রাস্ট গঠন করেন। উদ্দেশ্য ছিল, বৈষ্ণদেবী মন্দিরের আদলে ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরেও পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা।
জুলাই মাসে মন্দিরের সমস্ত ধনসম্পত্তির মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা হয়, যা চলাকালীন ট্রাস্টের মাধ্যমে প্রকাশ পায় যে মন্দিরের সম্পদ বলতে রয়েছে ১২.৯৫ কেজি সোনা, ৬৫.১৭৬ কেজি রূপো, ২৯ গ্রাম ওজনের একটি মুক্তাহার, এবং একটি মার্কিন ডলার।
ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দির হিন্দুশাস্ত্রে বর্ণিত ৫১ শক্তিপীঠের একটি, তথা অসংখ্য ভক্তের কাছে দেশের অন্যতম পবিত্র স্থানগুলির একটিও বটে। আগরতলা থেকে ৫৫ কিমি দূরে একটি টিলার উপরে ১৫০১ সালে ত্রিপুরাসুন্দরীর বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন মহারাজা ধন্যমানিক্য। কাছেই উদয়পুর, যার তখনকার নাম ছিল রাঙ্গামাটি। তৎকালীন ত্রিপুরার রাজাদের রাজধানী ছিল এই রাঙ্গামাটি।