
বনবাসীদের সম্পূর্ণ উচ্ছেদ সম্পর্কিত ১৩ ফেব্রুয়ারির রায় আপাতত
বিবেচনাধীন রাখল সুপ্রিম কোর্ট। বনের ওপর বনবাসীদের অধিকার সম্পূর্ণ খারিজ
করা হয়েছিল সেদিনের রায়ে। এ ব্যাপারে ২১ টি রাজ্যের জবাব চেয়ে পাঠিয়েছে
অরুণ মিশ্র ও নবীন সিনহার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
কেন্দ্র ও গুজরাট সরকার সম্মিলিত ভাবে এ ব্যাপারে বুধবার সুপ্রিম
কোর্টের দ্বারস্থ হয়। তারা আগের নির্দেশের পরিবর্তনের আবেদন করেছে। এই
নির্দেশ কার্যকর হলে অন্তত ১১.৮ লাখ জনজাতি এবং বনবাসীদের উপর তার প্রভাব
পড়বে। আদালতে পরবর্তী শুনানি আগামী ১০ জুলাই।
১৩ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যগুলিকে বনবাসী জনজাতিদের ও অন্যান্য
বনবাসীদের সম্পূর্ণ উৎখাত করার নির্দেশ দেয়। বনভূমিতে এদের অধিকার
সম্পর্কিত যে আইন তাকে সম্পূর্ণ খারিজ করে দেয়।
সুপ্রিম কোর্টের
নির্দেশর পরেই যেসব রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতাসীন, সেই রাজ্যগুলির
মুখ্যমন্ত্রীদের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দাখিল
করতে বলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
তিনি বলেছিলেন, ভারত যে সবার জন্যে সে প্রতিশ্রুতি পালনে করার সময় এসেছে। এর দুদিন পর বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির
মুখ্যমন্ত্রীদের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দাখিল
করার নির্দেশ দেন।
অমিত শাহ বলেন, উচ্ছেদ এড়াতে এবং জনজাতি বনবাসীদের অধিকার সুরক্ষিত
রাখার চেষ্টা করবেন তাঁরা। এ ব্যাপারে কোনও ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্যও
জনজাতিদের কাছে আবেদন জানান বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
২০০৬ সালে বনভূমির
উপর অধিকার সম্পর্কিত আইন সূচিত হয়। সে সময়ে থেকেই এর বিরুদ্ধে পিটিশন
দাখিল করা হয়েছিল। সেই পিটিশনের ভিত্তিতেই সুপ্রিম কোর্ট বনবাসী উচ্ছেদের
নির্দেশ দিয়েছিল।