
রাফাল রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি জনসমক্ষে করা হবে, জানিয়ে দিল
সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টের রাফাল রায়ের
পুনর্বিবেচনার সময় এজলাসের দরজা খোলা থাকবে সকলের জন্য।
দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি এস কে কাউল এবং বিচারপতি কে
এম জোসেফের ডিভিশন বেঞ্চ এই পুনর্বিচারের আবেদনটি গ্রহণ করেছে। ১৪
ডিসেম্বরের সুপ্রিম রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা যশবন্ত সিং, অরুণ শৌরি এবং
আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। এই তিন ব্যক্তি ছাড়াও আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয়
সিংও রাফাল রায়কে চ্যালেঞ্জ একটি আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টে। এদিন, সেই
আবেদনের প্রকাশ্য শুনানিতেই সায় দিল আদালত।
আবেদনকারীদের দাবি,
সরকারের দেওয়া ‘অসত্য তথ্যে’র উপর ভিত্তি করেই ২৪ ডিসেম্বর রায় দিয়েছিল
সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট ৩৬টি রাফাল যুদ্ধ
বিমান কেনার ব্যাপারে অনিয়ম হয়েছে বলে যে সমস্ত জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা
হয়েছিল, সেগুলি সবই খারিজ করে দেয় আদালত। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের
নেতৃত্বে গঠিত তিন বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছিল, রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার
ক্ষেত্রে কেন্দ্রের চুক্তি প্রক্রিয়ায় আদালত সন্তুষ্ট। এই চুক্তিতে কোনওরকম
হস্তক্ষেপ করা হবে না বলে জানিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত।
গত ১৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে রাফাল রায়ে কেন্দ্র স্বস্তি পেলেও, এ
ইস্যুতে মোদী সরকারকে বিঁধতে ছাড়েননি রাহুল গান্ধীরা। নিজেদের অবস্থান থেকে
অনড় থাকেন ষশবন্ত সিং, অরুণ শৌরি, প্রশান্ত ভূষণরা। পাশাপাশি, বিগত
কয়েকদিনে রাফাল নিয়ে মোদীর বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর ক্রমশ চড়িয়েছেন রাহুল
গান্ধীও। কখনও তিনি বলেছেন, ‘‘চৌকিদার চোর হ্যায়’’, আবার কখনও মোদীকে ‘অনিল
অম্বানির মিডলম্যান’ বলে কটাক্ষ করেছেন রাগা। এমতাবস্থায় রাফাল রায়ের
পুনর্বিবেচনা এমনিতেই মোদী সরকারের জন্য অস্বস্তির। তার উপর সেই শুনানি
জনসমক্ষে হওয়ায় অস্বস্তির মাত্রা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।